তাসকিনের উন্নতি ‘অবিশ্বাস্য’
করোনাভাইরাসের অপ্রত্যাশিত বিরতি সম্ভবত সবচেয়ে ভালো কাজে লাগিয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। শরীর থেকে বাড়তি মেদ ঝরিয়েছেন, সেরা ফিটনেস নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে ঝাঁজ দেখাচ্ছেন পেসে। নেটে নজর কাড়ার পর প্রস্তুতি ম্যাচেও দারুণ বল করা এই পেসারের উন্নতিকে এক কথায় ‘অবিশ্বাস্য’ বলছেন বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
তাসকিনকে নেটে দারুণ ছন্দে বল করতে দেখেই মুগ্ধতার কথা জানিয়েছিলেন পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। নেটের ছন্দ ম্যাচে রাখতে পারেন কীনা, তা দেখার বাকি ছিল। শুক্রবার প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ বল করে ৪৫ রানে নেন ৩ উইকেট। তবে যা বল করেছেন উইকেট পেতে পারতেন আরও বেশি।
বাড়তি বাউন্স আদায় করতে পেরেছেন, গতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ভাল জায়গায় বল ফেলতে পেরেছেন একটানা। ব্যাটসম্যানকে ভুগাতে তাকে দেখা গেছে আগ্রাসী মেজাজে।
শুক্রবার প্রস্তুতি ম্যাচ চলাকালীনই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে ডমিঙ্গো সবচেয়ে বেশি প্রশংসা করেন ডানহাতি এই পেসারের, ‘ছেলেরা গত তিন-চার মাস খুব ব্যস্ত ছিল। আমরা মাসখানের মতো এসেছি। তারা যা কাজ করেছে তাতে আমি গর্বিত। তাদের দেখে মনে হচ্ছে শারীরিকভাবে তারা বেশ ভাল আছে। অনেক খেলোয়াড়কেই নেটে মনে হয়েছে দারুণ ছন্দে। বোলারদের ফিট মনে হয়েছে। তাসকিনকে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। এটা রোমাঞ্চকর।’
‘তাসকিন কঠোর পরিশ্রম করেছে। যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। সে খুবই ফিট এখন।’
লাল বলের চুক্তিতে না থাকা মোস্তাফিজুর রহমানকেও আগের চেয়ে ছন্দে মনে হচ্ছে কোচের। সেইসঙ্গে অন্য পেসারদের নিয়েও দারুণ আশাবাদ তার। পেস আক্রমণে ভীষণ কার্যকর একটা গ্রুপ পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও দেখছেন তিনি, ‘নতুন বলে মোস্তাফিজ ভাল ছন্দে আছে। ভালো আভাস দিচ্ছে। রাহিকে দেখতে পারিনি কোয়ারেন্টিনের কারণে। খালেদও মুগ্ধ করেছে। তরুণ হাসান মাহমুদের মাঝেও ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি।’
‘একটা পেসার গ্রুপ বানানোটা খুব জরুরী। আমাদের ইবাদত, রাহি, তাসকিন, মোস্তাফিজ, খালেদ, আল-আমিন আছে। আমরা ৬-৭ জনের একটা দারুণ গ্রুপ বানিয়েছি যারা সব সংস্করণে খেলতে পারে। ঘরে ও বাইরে ভাল খেলতে পারে আগামী কয়েক বছর।’
Comments