পদ্মায় নৌকাডুবি: নিখোঁজের নবম দিনে ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নৌকা ডুবে যাওয়ার নবম দিনে আজ শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম সূচনা ও তার ফুপাতো ভাই রিমনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সূচনা (২২) ঢাকার আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি রাজশাহীর বাসিন্দা। রিমন (১৪) বগুড়ার সান্তাহার স্কুলের শিক্ষার্থী।
রাজশাহী নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, সকাল পৌনে ৮টায় একজনের এবং সকাল সাড়ে ৮টায় আরেকজনের মরদেহ নবগঙ্গা নদীর তীরের কাছে ভেসে ওঠে।
স্থানীয়রা মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
ওসি জানান, ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের সহায়তায় পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
ওসি বলেন, ‘যেখানে নৌকাডুবি হয়েছিল, মরদেহ উদ্ধারের জায়গাগুলো তার থেকে বেশি দূরে নয়।’
২৫ সেপ্টেম্বর বিকালে সূচনা ও রিমনসহ ১৩ জনকে নিয়ে ছোট একটি মাছধরার নৌকা স্রোতের তোড়ে নদীর নবগঙ্গা এলাকার ‘আই’ বাধ পয়েন্টের কাছে ডুবে যায়।
ওসি জানান, যাত্রীরা একে অপরের আত্মীয় এবং তারা নদীতে আনন্দ ভ্রমণে বের হয়েছিলেন।
১১ জন যাত্রী নদী সাঁতরে এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের সহায়তায় উদ্ধার হন, তবে দুজন নিখোঁজ ছিলেন।
ওই দিনই নৌপুলিশের কনস্টেবল শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে নৌকাচালক সুমন ও নৌকার দুই মালিক ইসা ও মিলনকে আসামি করে রাজশাহী মহানগর পুলিশের দামকুড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্তদের কাউকে এখনো আটক করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পদ্মা নদীতে আনন্দ ভ্রমণের জন্য ছোট মাছধরার নৌকা নিষিদ্ধ এবং নৌকাচালক ও নৌকার মালিকরা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ করেনি।
চলতি বছরের মার্চ মাসে নবগঙ্গার কাছে শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের যাত্রী বহনকারী দুটি মাছধরার নৌকা ডুবে গেলে সদ্য বিবাহিত কনেসহ নয় জনের মৃত্যু হয়।
Comments