আমাদের বিজয়, ভোটারদের বিজয়: সালাউদ্দিন

১৩৯ জন ভোটার। উপস্থিত ছিলেন ১৩৫ জন। তাদের রায়ে আরও চার বছরের জন্য দেশের ফুটবলের ভাগ্য সেই কাজী সালাউদ্দিনের হাতেই।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

১৩৯ জন ভোটার। উপস্থিত ছিলেন ১৩৫ জন। তাদের রায়ে আরও চার বছরের জন্য দেশের ফুটবলের ভাগ্য সেই কাজী সালাউদ্দিনের হাতেই। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বাদল রায় ও শফিকুল ইসলাম মানিককে তিনি হারিয়েছেন বিশাল ব্যবধানে। এমন জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি সালাউদ্দিন। টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হওয়ার পর ‘ভোটারদের জয়’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশের এ কিংবদন্তি সাবেক ফুটবলার।

শনিবার অনুষ্ঠিত বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থী সালাউদ্দিন ভোট পেয়েছেন ৯৪টি। বাদল ৪০টি ভোট পেয়েছেন। মানিকের বাক্সে ভোট গিয়েছে মাত্র একটি।

নির্বাচনের ২১টি পদের মধ্যে সালাউদ্দিনের সম্মিলিত পরিষদ থেকে সবমিলিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ১৪ জন (সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, তিন জন সহ-সভাপতি ও নয় জন সদস্য)। অর্থাৎ নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে তারা। অন্যদিকে, সমন্বয় পরিষদ থেকে ছয় জন সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও সমন্বয় পরিষদের মহিউদ্দিন আহমেদ মহী সমান ৬৫টি করে ভোট পেয়েছেন। ফলে সহ-সভাপতি পদের একটিতে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩১ অক্টোবর।

বিগত কয়েক দিনের জল্পনা-কল্পনা ও উত্তাপের অবসান ঘটিয়ে ফের সভাপতি হওয়া সালাউদ্দিন নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, ‘আমাদের বিজয় ভোটারদের বিজয়। ভোটাররা আপনাদের কাছে ফল উপস্থাপন করেছে। নির্বাচনের আগে কয়েক দিনে অনেকে অনেক কথাই বলেছে, তবে উত্তরটা দেওয়ার ছিল ভোটারদের, তারা উত্তর দিয়েছে। আমি ভোটারদের ধন্যবাদ জানাই।’

সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সালাউদ্দিনের বিগত ১২ বছরের কর্মকাণ্ডের কম সমালোচনা হয়নি। মূলত তার কাছে যে প্রত্যাশা ছিল ফুটবল অনুরাগীদের, তা পূরণ হয়নি। উল্টো দিনে দিনে আরও হতাশাজনক রূপ নিয়েছে বাংলাদেশের ফুটবল। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের বর্তমান অবস্থান ১৮৭ নম্বরে। কিন্তু সালাউদ্দিনের আমলেই র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৯৭তম স্থানে নেমে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল, যা দেশের ইতিহাসের সর্বনিম্ন।

তাতে অবশ্য সামান্য ক্ষতিও হয়নি। উল্টো আগের চেয়ে আরও ভোট বেড়েছে সালাউদ্দিনের, ‘২০০৮ সালে আমি ৮০ ভোট (আসলে ৬২) পেয়ে পাশ করেছি। শেষবার অর্থাৎ ২০১৬ সালে ৮৪ ভোট (আসলে ৮৩)। এবার ৯৪ ভোট। আমি তো দেখছি আমার ভোটের সংখ্যা বাড়ছে। লোকজন অনেক কিছুই বলছে, আমাকে নাকি চায় না। কিন্তু যারা ফুটবল (নিয়ে কাজ) করছে, আমি তো তাদের কাছে জনপ্রিয়।’

কেন ভোট ও জনপ্রিয়তা বেড়েছে, তার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘১২ বছরে কোনো লিগ, খেলা মিস হয়নি। আর এটা করি বলেই খেলোয়াড়রা এবং কাউন্সিলররা, যারা ফুটবলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত, তারা আমাকে সমর্থন করে। এটাই একমাত্র কারণ। আজকে (শনিবার) সব খেলোয়াড়... বর্তমান খেলোয়াড়রা আমাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসছে। যারা এখনও খেলছে। অতীতের খেলোয়াড়রা না। এখনকার খেলোয়াড়রা যখন আমাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছে, তখনই আমি বুঝেছি, হয়তো আমি কিছু ঠিক কাজ করেছি।’

ফুটবলের উন্নয়নে ভবিষ্যতে সবাইকে নিয়ে কাজ করার আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি, ‘যারা নির্বাচিত হয়ে এসেছে, তারা আমার প্যানেল থেকে আসুক বা অন্য প্যানেল থেকে, তাদেরকে তো ভোটাররা এনেছে। আমি অবশ্যই তাদের সঙ্গে কাজ করব। কারণ আমি ফুটবল (নিয়ে কাজ) করতে এসেছি। এটা তো রাজনীতি নয়।’

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago