সকল জল্পনা-কল্পনা ঠেকিয়েই কোভিডে এখন নিরাপদ বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘গত মার্চ মাসে কোভিড যখন দেশে প্রথম চলে আসে, তখন নানা মানুষ নানারকম জল্পনা-কল্পনা শুরু করতে থাকে। তখন বলা হতো, বাংলাদেশে মানুষের লাশ রাস্তায় পড়ে থাকবে। করোনায় লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে। অথচ বাংলাদেশ কোভিডে আক্রান্ত বিবেচনায় মৃত্যুহারে বিশ্বের সবচেয়ে কম দেশের কাতারেই রয়েছে।’
জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘গত মার্চ মাসে কোভিড যখন দেশে প্রথম চলে আসে, তখন নানা মানুষ নানারকম জল্পনা-কল্পনা শুরু করতে থাকে। তখন বলা হতো, বাংলাদেশে মানুষের লাশ রাস্তায় পড়ে থাকবে। করোনায় লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে। অথচ বাংলাদেশ কোভিডে আক্রান্ত বিবেচনায় মৃত্যুহারে বিশ্বের সবচেয়ে কম দেশের কাতারেই রয়েছে।’

‘আক্রান্ত ও মৃত্যুতে বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বা ইউরোপ, আমেরিকার থেকে অনেক ভালো অবস্থায় আছে। কোভিডে বাংলাদেশ এখন অনেকটাই নিরাপদ। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সঠিক দিক নির্দেশনা ও দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই’, বলেন তিনি।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর শিশু হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২০’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে সারা দেশব্যাপী এক লাখ ২০ হাজার ক্যাম্পে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্ভোধন ঘোষণাকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্ভোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকের প্রতিটি সুস্থ শিশুই আগামী দিনের উজ্জ্বল বাংলাদেশের কান্ডারি হবে। আজকের শিশুকে টীকা দিলে সেই সন্তান ভবিষ্যতের সুস্থ ও মেধাবী সন্তান হবে। এই সন্তান ভবিষ্যত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে। একইভাবে এই টীকা না দেওয়া হলে সন্তান নানা রোগে রোগাক্রান্ত হতে পারে। সন্তান হাবা-গোবা, বেটে হতে পারে। একটি রোগাক্রান্ত সন্তান একটি পরিবারের জন্য অনেক কষ্টের কারণ। তাই দেশে একটি শিশুও যেন রোগাক্রান্ত হয়ে না জন্মায়, সেজন্য সরকার যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করছে, তা আমাদের সকলকে বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রতিটি এলাকার মায়েদের টীকাদান কেন্দ্রে পাঠাতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, আজ থেকে ১৭ অক্টোবর সারাদেশর সকল ইপিআই টীকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

মন্ত্রী মায়েদের উদ্দেশে জানান, শিশুর জন্মের পর এক ঘণ্টার মধ্যে শাল দুধসহ মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। জন্মের ৬ মাস পর্যন্ত কেবল মায়ের বুকের দুধই খাওয়াতে হবে। শিশুর বয়স ৬ মাস পার হলে তখন মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে অন্যান্য খাবার দিতে হবে।

উল্লেখ্য, টীকাদান ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দেশের ৬ মাস থেকে ১ বছরের কম বয়সী প্রায় ২৭ লাখ শিশুকে নীল রঙের একটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১ বছর থেকে ৫ বছর বয়সী প্রায় এক কোটি ৯৩ লাখ শিশুকে লাল রঙের একটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রায় এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই টীকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি প্রফেসর শহীদুল্লাহ, লাইন ডিরেক্টর মুস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Rab arrests ex-DMP chief Asaduzzaman

Rapid Action Battalion last night arrested the former Dhaka Metropolitan Police (DMP) commissioner Asaduzzaman Mia at Mohakhali in the capital.

2h ago