আবারও বল হাতে উজ্জ্বল তাসকিন, ইমরুল-মাহুমুদউল্লাহর ব্যাটে রান
দুইদিনের আগের প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ বল করে নজর কেড়েছিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় ম্যাচেও একই রূপে পাওয়া গেল তাকে। তার তোপের মাঝে ফিফটি পেয়েছেন ইমরুল কায়েস আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, রান পেয়েছেন লিটন দাসও।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাট-বলের লড়াই হয় সমান তালে। সোমবার প্রথম দিনে ওটিস গিবসন একাদশ ৭২ ওভার খেলে ৮ উইকেটে ২৪৮ রান করেছে।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন ইমরুল, মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রান। ৪৪ রান করে আউট হন লিটন দাস। রায়ান কুক একাদশের হয়ে ৪৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আবারও সেরা তাসকিন।
ব্যাট করতে নামা গিবসন একাদশকে শুরুতেই জোড়া আঘাত দেন তাসকিন। ওপেনার সাইফ হাসানকে নিজের বলে ক্যাচ বানানোর পর ছেঁটে ফেলেন নাজমুল হোসেন শান্তকে। এই বাঁহাতি তাসকিনের বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
এরপর ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ জুটিতে এগিয়ে যাচ্ছিল দল। ৮ চার, ১ ছক্কায় সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৬০ রান করা ইমরুলকেও নিজের বলে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ বানান তাসকিন। আগের ম্যাচে রান না পাওয়া লিটন এদিন থিতু হতে সময় নেন, পরে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছিলেন তিনি। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গেও জুটি বাড়ছিল তার।
ফিফটি পেরুনো মাহমুদউল্লাহ অবশ্য মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের স্লোয়ার বুঝতে না পেরে তার হাতেই দিয়েছেন সহজ ক্যাচ। মাহমুদউল্লাহর ফেরার পর কিছুটা আগ্রাসী মেজাজে দেখা দেন লিটন। আর সেটাই কাল হয় তার। আল-আমিন হোসেনের বলে পুল করে তুলে দেন সহজ ক্যাচ।
আগের ম্যাচে ফিফটি করা সৌম্য সরকার এদিন থিতু হয়েও উইকেট থেকে অকারণে বেরিয়ে স্টাম্পড হয়েছেন তাইজুল ইসলামের স্পিনে। এদিনও শেষ বিকেলে বল করতে এসে ২ উইকেট নিয়েছেন অনিয়মিত স্পিনার মোহাম্মদ মিঠুন। রুবেল হোসেনকে নিয়ে দিনের বাকি সময় পার করছেন ২৯ রান নিয়ে খেলতে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওটিস গিবসন একাদশ প্রথম ইনিংস: ৭২ ওভারে ২৪৮/৮ ( সাইফ ৭, ইমরুল ৬০, শান্ত ২ , মাহমুদউল্লাহ ৫৬, লিটন ৪৪ , সৌম্য ২৬ , মোসাদ্দেক ২৯*, নাঈম ৮, ইবাদত ০, রুবেল ০* ; তাসকিন ৩/৪৪ , সাইফুদ্দিন ১/৪১, খালেদ ০/৩১ , আল-আমিন ১/৩৬, তাইজুল ১/৭৬, মিঠুন ২/১০ )
Comments