মাঠে ক্রিকেট ফেরায় ইমরুলদের স্বস্তি
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রায় পাঁচ মাসের মতো বন্ধ ছিল দেশের সব ধরণের ক্রিকেট। তবে বেশ কিছু দিন থেকেই অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছে তারা। এরপর নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি মূলক ম্যাচ খেলার সুযোগও মিলেছে তাদের। খুব শীগগিরই কর্পোরেট ক্রিকেট লিগ আয়োজন করতে যাচ্ছে বিসিবি। সবমিলিয়ে তাই আবারও মাঠের ক্রিকেটের আবহ ফিরেছে মিরপুরে। তাতে স্বস্তি পেয়েছেন ক্রিকেটাররা।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার দ্বিতীয় প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে মাঠে নামে ক্রিকেটাররা। নিজেদের মধ্যে ম্যাচ হলেও তাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আমেজ ছিল বেশ। বেশ উপভোগ করেই খেলছেন ক্রিকেটাররা। তাই দিনের খেলা শেষে স্বস্তির কথাই জানালেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্যতম খেলোয়াড় ইমরুল কায়েস, 'অনেকদিন পর খেলা শুরু হয়েছে এটা আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় স্বস্তির বিষয়।'
আর কেন এটা স্বস্তির বিষয় তার ব্যাখ্যাও দেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, 'খেলোয়াড় হিসেবে বাসায় বসে থাকাটা সবচেয়ে কষ্টের বিষয়। আমরা মাঠে এসে খেলতে পারছি এবং সামনে আরও কিছু টুর্নামেন্ট আমাদের জন্য হচ্ছে। যেগুলো আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা অংশ নিতে পারবো। বিসিবিকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হয় এরকম একটা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।'
করোনাভাইরাসের কারণে লম্বা বিরতির পরও খেলোয়াড়দের ছন্দে খুব একটা ঘাটতি না দেখার কারণও জানালেন ইমরুল, 'সাধারণত যেটা হয় এরকম একটা বিরতির পরে প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ই প্রথম দুইটা ম্যাচ একটু ক্যাজুয়াল বা নার্ভাস থাকে ব্যাটিং বা বোলিংয়ে। কিন্তু আমার মনে হয় সবাই নিজের কাজটা ঠিকভাবে করেছে আমাদের এই বিরতিতে। যার জন্য সমস্যা হয়নি।'
'বোলিংয়ের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটা বোলার শতভাগ দিয়ে বোলিং করেছে। এবং ছন্দে মনেই হয়নাই যে আসলে তারা ক্রিকেটের বাইরে ছিল। পেশাদারভাবে প্রত্যেক খেলোয়াড়ই সিরিয়াস হয়েছে, যেটা আমদের ক্রিকেটের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। ব্যাটসম্যানরাও চেষ্টা করেছে উইকেটে থেকে রান করার। সহজে রান করতে পারেনি, বোলাররা সহজে রান করতে দেয়নি, কষ্ট করেই রান করতে হয়েছে।' -যোগ করে আরও বলেন ইমরুল।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ভালো ব্যাটিং করেছেন ইমরুল। ৬০ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। বেশ সাবলীল খেলতে থাকা এ ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন তাসকিন আহমেদের বাউন্সারে। পুল করতে গিয়ে তাসকিনের তালুবন্দি হন তিনি। ঝাঁপিয়ে পড়ে অসাধারণ এক ক্যাচ লুফে নিয়েছেন এ পেসার। যদিও উইকেট ছাড়ার সময় অসন্তোষ প্রকাশ করেন ইমরুল।
Comments