সিলেটে শিশু ধর্ষণ: ২ আসামির রিমান্ড

গ্রেপ্তার দুই আসামি।

সিলেট সদর উপজেলার সরদারেরগাঁও এলাকায় ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনার গ্রেপ্তার দুই আসামিকে দুই দিনের করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার সকালে তাদের সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শারমীন খানম নীলার আদালতে হাজির করে সাত দিনের করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাদের দুই দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আসামিরা হলেন— সিলেট সদর উপজেলার রায়েরগাঁয়ের নাসির উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন (২২) ও একই এলাকার তজম্মুল আলীর ছেলে মো. এখলাছ মিয়া (২০)। বাদীপক্ষের আইনজীবী দেবব্রত চৌধুরী লিটন বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে বাথরুমে যাওয়া জন্য ঘর থেকে বের হলে ওই শিশুকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে এক আসামি। সে সময় অপর আসামি তাকে সহযোগিতা করে।

ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালী চার জন ভুক্তভোগী শিশুর বাবাকে ডেকে বিষয়টি সালিশে সুরাহা করে দেওয়া হবে মামলা না করতে বলেন। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনো সালিশ সুরাহা না হওয়ার পর স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগিতায় জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা।

তবে, এরপর পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি এবং স্থানীয় প্রভাবশালীরা শিশুটির মৎসজীবী-দরিদ্র এবং নিম্নবর্ণের হিন্দু পিতাকে ভয়ভীতিও প্রদর্শন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে গত শনিবার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে যৌথভাবে মানববন্ধন আয়োজন করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।

সে সময় সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ মানববন্ধন থেকেই শিশুটির ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তারে সাতদিনের আলটিমেটাম জানানো হয়। এরপর রোববারেই এজাহারভুক্ত দুই আসামিকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন:

প্রতিবাদের পরই গ্রেপ্তার হলো শিশু ধর্ষণ মামলার ২ আসামি

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago