নোয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

অস্ত্র মামলায় আসামি দেলোয়ারকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে (৩৭) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেনের নামে অস্ত্র মামলা দায়ের করেছে র‌্যাব। এ মামলায় সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে নোয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আটক করা হয় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারসহ মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন বাদলকে। ছবি: স্টার

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে (৩৭) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেনের নামে অস্ত্র মামলা দায়ের করেছে র‌্যাব। এ মামলায় সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায় পুলিশ।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুখ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় সোমবার রাতে র‌্যাব-১১ এর ডিএডি শেখ আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়।’

এর আগে গত সোমবার ভোরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন শিমরাইল এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী একটি পরিবহনে তল্লাশি চালিয়ে দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১১। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ভোর সাড়ে ৫টায় ঢাকার কামরাঙ্গীচর ফাঁড়ি এলাকার একটি প্লাস্টিক কারখানায় আত্মগোপনে থাকা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রধান আসামি নূর হোসেন বাদলকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম বলেন, ‘আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,  গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে গ্রেপ্তারকৃত দেলোয়ার বাহিনীর কয়েকজন সদস্য ভুক্তভোগী গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে তাকে বিবস্ত্র করে বিভিন্নভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় শারীরিকভাবে নির্যাতন করে ঘটনার ভিডিও ধারণ করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে পরবর্তীতে টাকা দাবী ও অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সেসব প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পরবর্তীতে গত ৪ অক্টোবর ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।’

র‌্যাব-১১ এর সিও খন্দকার সাইফুল আলম বলেন, ‘দেলোয়ার বাহিনী উক্ত এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা এবং নানান সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত এবং দেলোয়ার এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের ভয়ে এলাকার অধিবাসীরা ভীত সন্ত্রস্ত। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে দুটি হত্যা মামলা আছে। দেলোয়ারের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি অবৈধ। এটি দিয়েই মূলত এলাকায় মানুষকে ভয় দেখাতো সে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভিডিওতে যারা ছিল তারা সবাই দেলোয়ার বাহিনীর সদস্য। তারা একত্রে চলাফেরা করে বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকে।’

দেলোয়ারকে গ্রেপ্তারের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে তার মাছের খামারে অভিযান চালিয়ে সাতটি তাজা ককটেল ও দুটি গুলি উদ্ধার করে র‌্যাব।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago