চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপানের উদ্বেগ
চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ‘কোয়াড’ নামে পরিচিত চার দেশ যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপান।
আজ মঙ্গলবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে এ উদ্বেগের বিষয়টি উঠে এসেছে বলে জানায় বার্তা সংস্থা এপি।
বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ‘এ অঞ্চলে চীনা শোষণ, দুর্নীতি ও দখলদারিত্বের কারণে চার অংশীদার দেশ ও জনগণকে সহযোগিতা করা আগের চেয়ে অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।’
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারির জন্য পম্পেও চীনকে দায়ী করে বলেন, ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শোষণ, দুর্নীতি ও জবরদস্তি থেকে আমাদের জনগণ ও অংশীদারদের রক্ষা করা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগর, মেকং, হিমালয়, তাইওয়ান স্ট্রেইট এসবের সামান্য উদাহরণ।’
ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে করোনাভাইরাস, বাণিজ্য, প্রযুক্তি, হংকং, তাইওয়ান ও মানবাধিকারসহ নানা বিষয় নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হলো।
সম্প্রতি হিমালয় সীমান্ত নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনাও বেড়েছে। এ ছাড়া, বিগত কয়েক মাসে অস্ট্রেলিয়া ও চীনের সম্পর্কেরও অবনতি হয়েছে।
পূর্ব চীন সাগরে জাপান নিয়ন্ত্রিত সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের ওপর চীনের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা নিয়ে উদ্বিগ্ন জাপান। জাপান চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক কর্মকাণ্ডকে নিরাপত্তার হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে। জুলাইয়ে জাপানের বার্ষিক প্রতিরক্ষা নীতিমালায় দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের একতরফা আধিপত্য বিস্তারের বিষয়ে অভিযোগ করা হয়।
জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা ‘কোয়াড’ কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালে “মুক্ত স্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিক” এর নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উদ্যোগ জোরদার করা আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
পম্পেও ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস পেইন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিতসু মোতেগি সুগার সঙ্গে সকালে সাক্ষাতের পর এ বৈঠকে বসেন।
বৈঠকে পম্পেও স্পষ্টভাবে চীনের সমালোচনা করলেও, অন্যরা চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিবর্তে ‘মুক্ত স্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিক’ এর অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক ধারণা প্রকাশে আরও সূক্ষ্ম কূটনৈতিক ভাষা ব্যবহার করেন, যা আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব এবং বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানকে সম্মান করে।
Comments