চট্টগ্রামে ৯৯৯-এ ফোন করে উদ্ধার হলেন দুই তরুণী
চট্টগ্রামে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে একটি ফ্লাট থেকে দুই তরুণীকে উদ্ধার করছে নগরীর বাকলিয়া থানা পুলিশ। ওই দুই তরুণীকে চাকরি দেওয়ার নামে সেখানে আটকে রেখে জোরপূর্বক অবৈধ কাজ করানো হচ্ছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনায় এক নারীসহ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. দেলোয়ার (২৫) এবং শাহীন আকতার (২৪)।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিন দ্যা ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কল্পলোক আবাসিক এলাকার এমিরেটার্স প্যালেস, জি-৩১ নং ব্লকের ফ্লাটে চাকরির নাম করে নগরীর ইপিজেড থেকে তাদের সেখানে আনা হয় এবং পরে সেখানে আটকে রেখে অবৈধ কাজে বাধ্য করানো হত তাদের।’
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের চকবাজার জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রাইসুল ইসলাম দ্যা ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সোমবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ একজন তরুণী ফোন করে জানান, তাকে এবং তার ফুফাতো বোনকে বাকলিয়ায় একটি বাসায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। কিন্তু, সে বাসার নাম-নাম্বার কিছুই জানে না। জাতীয় জরুরি সেবা ওই তরুণীর কলটি বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জের সরকারি নাম্বারের সঙ্গে সংযোগ দিলে ওসি ওই ভিকটিমদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বাসার আশপাশের অবস্থান বর্ণনা করতে বলেন।’
‘সেই বর্ণনার সূত্র ধরে বাকলিয়া থানার ওসির নেতৃত্বে একটি টিম ভিকটিমদের এমিরেটার্স প্যালেস ব্লক-জি, প্লট-৩১, ৫ম তলার ৪ বি-ফ্ল্যাটটি সনাক্ত করেন এবং ঐ বাসা থেকে ভিকটিমদের উদ্ধার করেন,’ বলেন এসি রাইসুল ইসলাম।
ওসি নেজাম বলেন, ‘ওই দুই তরুণী পতেঙ্গা থানাধীন কর্ণফুলী ইপিজেড-কেনপার্ক বাংলাদেশ এ্যাপারেল প্রাইভেট লিমিটেডে চাকরি করত। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে ওই গার্মেন্টসের রেখা নামের এক সহকর্মী অন্য গার্মেন্টসে চাকরির মিথ্যা আশ্বাস দেয়। পরে সে এই চক্রের অন্য সদস্য মো. রাকিবের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করিয়ে দেয়।’
‘রাকিব ও এক নারীসহ আরও দুজন তাদের সেই বাসায় চাকরি দেওয়ার নামে ৩ অক্টোবর থেকে আটকে রেখে অবৈধ কাজে করে।’
‘শাহীন হচ্ছে এই চক্রের ম্যনেজার। তিনি অসহায় তরুণীদের চাকরির নামে টার্গেট করে সেখানে নিয়ে আসতো এবং এই কাজে বাধ্য করতো। এই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে,’ বলেন ওসি নেজাম।
এ ঘটনায় বাকলিয়া থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা হয়েছে।
Comments