অথচ ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন কাভানি!

মহামারি চলাকালীন পরিবারের কাছে থাকার জন্য বুটজোড়া তুলে রাখার ভাবনা খেলা করছিল তার মাথায়।
cavani
ছবি: টুইটার

দলবদলের শেষ দিনে এদিনসন কাভানিকে দলভুক্ত করে চমক দেখিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে উরুগুয়ের অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ড জানিয়েছেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত গ্রীষ্মে ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন তিনি!

গত সোমবার রাতে কাভানির সঙ্গে এক বছরের চুক্তি করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সফলতম ক্লাব ইউনাইটেড। তাকে স্কোয়াডে যুক্ত করতে কোনো ট্রান্সফার ফি লাগেনি রেড ডেভিলসদের। কারণ, ৩৩ বছর তারকা ছিলেন ‘ফ্রি এজেন্ট’। গত জুনে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে (পিএসজি) বিদায় বলে দেওয়ার পরের কয়েকটি মাসে ফুটবল থেকে দূরে ছিলেন তিনি।

মঙ্গলবার আর্জেন্টিনার একটি রেডিও অনুষ্ঠানে কাভানি বলেছেন, মহামারি চলাকালীন পরিবারের কাছে থাকার জন্য বুটজোড়া তুলে রাখার ভাবনা খেলা করছিল তার মাথায়, ‘আপনার পরিবারের স্বাস্থ্যের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই, আমি ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভেবেছিলাম। এটা সত্যি যে, আমি এটা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করেছি। খেলা ছেড়ে দিয়ে গ্রামে থেকে যাওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করেও দেখেছি।’

‘করোনাভাইরাসের কারণে আমাকে অনেক ভুগতে হয়েছে। আমার পরিবার নিয়ে, আমার প্রেমিকাকে নিয়ে। সত্যটা হলো, এটা খুবই খারাপ সময় ছিল। কারণ এটা মনের মধ্যে ভয় তৈরি করে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ আমরা ভালোভাবে সেরে উঠেছি।’

চুক্তি অনুসারে, নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে পারলে আরও ১২ মাস ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে থাকার সুযোগ রয়েছে কাভানির। প্রতি মৌসুমে তিনি বেতন হিসেবে পাবেন ১১ মিলিয়ন ইউরো। পারফরম্যান্স ও অন্যান্য বোনাস মিলিয়ে তার আয়ের সঙ্গে আরও ২ মিলিয়ন ইউরো যোগ হতে পারে।

পিএসজি ছাড়ার পর কাভানি নতুন কোনো ক্লাবে যোগ দেওয়ার আগেই শুরু হয়ে যায় ২০২০-২১ মৌসুম। এতেও কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। অবশেষে অপেক্ষার পালা সাঙ্গ করে প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়ানোর প্রায় এক মাস পর ম্যান ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন তিনি।

‘আপনার মনের মধ্যে উদ্বেগ ঢুকে পড়াটা খুবই স্বাভাবিক। লিগগুলো শুরু হয়ে গিয়েছিল এবং আমি একটি দলের খোঁজ করছিলাম।... অনেক অনিশ্চয়তা ও দুশ্চিন্তা ছিল। দিনের পর দিন চলে যাচ্ছিল এবং আমার পরিবার, বন্ধুরা ও প্রত্যেকে জানতে চাইছিল যে, আমি কোথায় খেলব। এখন আমি এখানে (ম্যানচেস্টারে)। আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে খুবই খুশি এবং দলটির জার্সি গায়ে তোলার অপেক্ষায় আছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago