দেলোয়ার ও আবুল কালামের বিরুদ্ধে সেই নারীর মামলা, গ্রেপ্তার আরও ২

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আরও দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল দিবাগত রাতে জেলা পুলিশের একটি দল একলাশপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- একলাশপুর গ্রামের মৃত সোলেমানের ছেলে নুর হোসেন রাসেল (৩০) ও একই গ্রামের পোড়া মুন্সির ছেলে সোহাগ (২১)।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী আজ বুধবার সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গ্রেপ্তার সোহাগ ও রাসেল এজাহার বহির্ভূত আসামি। মামলার তদন্তে এই দুই ব্যক্তির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদেরকে মামলার অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, আটক দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করা হবে।

দেলোয়ার ও আবুল কালামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় একলাশপুরের সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান দেলোয়ার ও তার সহযোগী আবুল কালামের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ওই নারী।

গতকাল রাতে দেলোয়ার ও তার বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড আবুল কালামের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

পুলিশ নারীর লিখিত অভিযোগটি রাতেই ধর্ষণ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে। বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী আজ সকালে মামলা দায়েরের বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বরাত দিয়ে ওসি জানান, অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২ সেপ্টেম্বর দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার ও তার বাহিনীর সদস্যরা বসতঘরের দরজা ভেঙে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ, বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং ওই নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিওধারণ করেন। ওই ঘটনার বছর খানেক আগে দেলোয়ার ওই নারীকে দুইবার জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করেন। দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করেন এপ্রিলের শেষের দিকে। দ্বিতীয়বার ধর্ষণের সময় দেলোয়ার বাহিনীর সদস্য কালামও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন।

ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী আরও জানান, দেলোয়ারকে নারীর নির্যাতন মামলায় মঙ্গলবার শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছিল। ধর্ষণ মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এ মামলার অপর আসামি আবুল কালামসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে।