প্রেমে বিপ্লবে প্রাসঙ্গিক হেলাল হাফিজ
কাব্য মনীষী মেকলে বলেন, ‘কবিতা হচ্ছে সেই রচনা যেখানে শব্দ এমন ভাবে ব্যবহৃত হয়, যাতে পাঠকের কল্পলোকে ঐ শব্দ একটি চিত্রিত সৌন্দর্যের বিশ্ব উন্মুক্ত করে দিতে পারে। শিল্পী রঙ দিয়ে যে কাজ করে, কবি ব্যবহারের মাধ্যমে তাই করে থাকেন।’
আমি মনে করি- কবিতা কবিতাই, তার সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা চলে না। অন্যদিকে কবি আল মাহমুদ বলেন, ‘কবিতা এক অমীমাংসিত শিল্প।’ এ অমীমাংসিত শিল্প, আধুনিক বাংলাসাহিত্যে ধরা দেয় মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে। পরবর্তীতে ত্রিশের দশক থেকে শুরু করে ষাটের দশকে পঞ্চ পাণ্ডবের আবির্ভাব হওয়ার নজির বাংলা সাহিত্যে রয়েছে। বুদ্ধদেব বসু, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, বিষু দে, অমিয় চক্রবর্তী ও জীবনানন্দকে পঞ্চপাণ্ডব বলা হয়, যারা রবীন্দ্র বলয় থেকে বেরিয়ে এসে স্বতন্ত্র ভাবধারায় বাংলা সাহিত্যের গায়ে নতুন চাদর জড়িয়েছেন। তবে, আমার কাছে কবিতা মানেই দ্রোহের আগুনে পোড়া ভস্ম। সেই দ্রোহের চিত্র পুরোপুরি উপস্থাপনে সক্ষম হয়েছেন নজরুল। সেই দ্রোহের চিত্র বাংলা সাহিত্যে সমকালে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তার করেছেন হেলাল হাফিজ।
১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া থানার বড়তলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই কবি। তার বাবা খুরশেদ আলী তালুকদার ও মা কোকিলা খাতুন। খুব শৈশবেই হেলাল হাফিজ মাতৃহীন হলে, পিতা আবার বিয়ে করেন। কবির বাবা ছিলেন কবি ও খ্যাতিমান শিক্ষক। বাবার কবিতার খাতাগুলো কবিকে প্রথম যৌবনের কবিতা লেখার পেছনে অনুপ্রাণিত করেছেন। কলেজ জীবনে এসেই হেলাল হাফিজ কাব্যচর্চায় নিমগ্ন হয়ে পড়েন। প্রায় দেড়যুগ কাব্যচর্চার পর প্রথম কাব্য ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ বের হয়। এতে সারাদেশে হৈ-চৈ পড়ে যায়। মাতৃহীন ছিলেন বলেই হয়তো বেদনাবোধ এবং শূন্যতা হেলাল হাফিজকে কবি হতে উস্কানি দেয়। এই বেদনা ভুলে থাকার জন্য প্রথমে খেলাধুলায় সময় দিতেন। সেই সঙ্গে অল্প স্বল্প লিখতেন। এরপর কলেজে পড়াকালীন অবস্থায় খেলাধুলায় আর দুঃখটা যাচ্ছিল না, তখন কবিতার দিকেই মনোনিবেশ করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর কবিতার প্রতি তার একাগ্রতা বাড়ে।
‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ (নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়/ যে জলে আগুন জ্বলে)
নিষিদ্ধ সম্পাদকীয় ১৯৬৯-এ গণঅভ্যুত্থানের জোয়ারে আন্দোলিত হয়ে লেখা। এই আন্দোলনে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। সবার চাওয়া ছিল এক। এই কবিতাটিতে মিছিলকারী মানুষের বৈচিত্র্যের কথাও কিছুটা এসেছে। বলা যায়, কবিতাটি বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনকে ব্যাপকভাবে আন্দোলিত করেছে। মিছিলে, স্লোগানে সর্বাধিক উচ্চারিত হওয়ায় কবিতাটি সময়ের অসামান্য দলিল হিসেবেও বিবেচিত। প্রায় ৫০ বছর পার হলেও আজও এটি প্রাসঙ্গিক!
নির্মলেন্দু গুণ ও আবুল হাসান ছিলেন কবির সারথি। তিনি ষাটের দশক থেকে কবিতার চর্চা করেন এবং ৬৯ থেকে ৮৫ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৬ বছরের কবিতা নিয়ে তার ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ কাব্যগ্রন্থটি। এই ৫৪টি কবিতায় কবির কাব্য ব্যক্তিত্ব ও নিজস্ব চরিত্র লক্ষণ স্পষ্টতর। রোমান্টিক কবি চরিত্র ও লিরিক শিল্প নিপুণতা তার কবিতার গায়ে মাখানো।
এ প্রসঙ্গে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণ করি। এটি গণঅভ্যুত্থানের সময়। ঢাকা শহর যেন মিছিলের নগরী। হেলাল হাফিজ ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ কবিতা নিয়ে প্রকাশের জন্য গেলেন দৈনিক পাকিস্তানের সাহিত্য সম্পাদক কবি আহসান হাবীবের কাছে। আহসান হাবীব কবিতা পড়ে ফিরিয়ে দিলেন, আর বললেন, ‘তোমার এ কবিতা ছাপাতে পারলাম না বলে আমার আজীবন দুঃখ থাকবে। তবে আমি বলছি- এই কবিতা লেখার পর তোমার আর কবিতা না লিখলেও চলবে।’
বাহ! দূরদৃষ্টি কবিদেরই থাকে। আর কবির কথা কবির জন্য সত্যি হয়েছে। তাকে জায়গা করে দিয়েছে বাংলা সাহিত্যে।
খ.
আমাকে দুঃখের শ্লোক কে শোনাবে?
কে দেখাবে আমাকে দুঃখের চিহ্ন কী এমন,
দুঃখ তো আমার সেই জন্ম থেকে জীবনের
একমাত্র মৌলিক কাহিনী।
আমার শৈশব বলে কিছু নেই
আমার কৈশোর বলে কিছু নেই,
আছে শুধু বিষাদের গহীন বিস্তার। (আমার সকল আয়োজন)
আগেই বলেছি, মাতৃহীন ছিলেন বলেই বোধ হয় বেদনাবোধ এবং শূন্যতা হেলাল হাফিজকে কবি করে তুলেছে। তাছাড়া প্রেম বলে একটি বিষয় প্রায় সবার জীবনেই আসে। কবির জীবনেও এসেছিলো। তার নাম হেলেন। হেলেন ছিলেন তার প্রথম প্রেয়সী এবং হেলেনের ব্যাপারে তিনি অতিমাত্রায় সংবেদনশীলও ছিলেন। হেলেন প্রসঙ্গ উঠলে তিনি আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে কান্নাকাটিও করতেন।
হেলেনের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর কবি ১০-১৫ দিন কারও সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলেননি। তার একমাত্র ভাবি তার বিয়ের জন্য কোনো মেয়ের ছবি দেখালেই তিনি বলতেন ‘ভাবি, এই মেয়েটা দেখতে ঠিক আমার মায়ের মতো।’ এর পর তার ভাবি তাকে আর কোনো মেয়ের ছবি দেখাতে সাহস করেননি।
তীব্র দুঃখ বুকে চেপে নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় পাড়ি জমান হেলাল হাফিজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে লেখাপড়াও করেছেন তিনি। ব্যতিক্রমী ও সহজবোধ্য কবিতা লেখার ফলে তার খ্যাতি ক্যাম্পাস থেকে ক্রমশ ছড়িয়ে যায় দেশব্যাপী। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয় তার আলোড়ন-সৃষ্টিকারী ‘যে জলে আগুন জ্বলে’। কবিতাগুলো কতটা সহজ জেনে নেই তার ‘যাতায়াত’ কবিতাটি থেকে:
কেউ জানে না আমার কেন এমন হলো।
কেন আমার দিন কাটে না রাত কাটে না
রাত কাটে তো ভোর দেখি না
কেন আমার হাতের মাঝে হাত থাকে না কেউ জানে না।
নষ্ট রাখীর কষ্ট নিয়ে অতোটা পথ একলা এলাম
পেছন থেকে কেউ বলেনি করুণ পথিক
দুপুর রোদে গাছের নিচে একটু বসে জিরিয়ে নিও,
কেই বলেনি ভালো থেকো সুখেই থেকো
যুগল চোখে জলের ভাষায় আসার সময় কেউ বলেনি
মাথার কসম আবার এসো
জন্মাবধি ভেতরে এক রঙিন পাখি কেঁদেই গেলো
শুনলো না কেউ ধ্রুপদী ডাক,
চৈত্রাগুনে জ্বলে গেলো আমার বুকের গেরস্থালি
বললো না কেউ তরুণ তাপস এই নে চারু শীতল কলস।
লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলাম তবু এলাম।
একজন প্রকৃত কবির শক্তি তার সৌন্দর্য সচেতনতা ও কল্পনার সুসংহত জগতকে ঘিরে বেড়ে ওঠে। একাকীত্ব প্রকাশ করেন মনের অক্ষরে। সময়কে তুলে ধরেন পাতায় পাতায়। ফলে ৬৭ বসন্ত পার করলেও হেলাল হাফিজ আজও বিয়ে করেননি। যখনই তাকে কেউ জিজ্ঞেস করেছে বিয়ে না করার কারণ, তিনি জবাবে বলেছেন, ‘আমি যে কাউকে বিয়ে করিনি, তা নয়; বরং আমাকেই কেউ বিয়ে করেনি!’ তারপরেই আবার বলেন,
ইচ্ছে ছিল তোমাকে সম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো
ইচ্ছে ছিল তোমাকেই সুখের পতাকা করে
শান্তির কপোত করে হৃদয়ে উড়াবো।
ইচ্ছে ছিল সুনিপুণ মেকআপ-ম্যানের মতো
সূর্যালোকে কেবল সাজাবো তিমিরের সারাবেলা
পৌরুষের প্রেম দিয়ে তোমাকে বাজাবো, আহা তুমুল বাজাবো।
ইচ্ছে ছিল নদীর বক্ষ থেকে জলে জলে শব্দ তুলে
রাখবো তোমার লাজুক চঞ্চুতে,
জন্মাবধি আমার শীতল চোখ
তাপ নেবে তোমার দু’চোখে।
ইচ্ছে ছিল রাজা হবো
তোমাকে সম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো,
আজ দেখি রাজ্য আছে
রাজা আছে
ইচ্ছে আছে,
শুধু তুমি অন্য ঘরে। (ইচ্ছে ছিল)
এ কবিতা হয়ে উঠেছে হাজারো বিরহে কাতর এক শিল্পীর বয়ান। দেখা যায়, কবি হেলাল হাফিজ উদাসীন ছিলেন, কবিতাই তার প্রেম, তার সংসার। এই কবি কবিতাকে স্লোগান করেননি, তবে তার কবিতা স্লোগান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। কবির কবিতায় যেমন আছে ব্যক্তির আবেগ অনুভূতি, প্রেম-বিরহ, তেমনি আছে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং আশাভঙ্গের কথাও। ষাটের দশকের শেষে আবির্ভূত হওয়া একজন প্রকৃত কবি হেলাল হাফিজ।
একবার তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই যে একটি কাব্যগ্রন্থ দিয়ে প্রায় দুই প্রজন্মকে সমানভাবে সম্মোহিত করে রাখলেন, আপনার কবিতার কোন বিশেষ দিকটির জন্য আপনার কবিতা এখনো শুরু থেকে সমান পঠিত বলে মনে করেন?
তিনি বলেন, ‘আমার কবিতায় মানুষের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকে হয়তো প্রকাশ করতে পেরেছি। আমার স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা মানুষকে স্পর্শ করেছে বলেই এটা হয়েছে বলে মনে হয়। যেমন- এবার এই যে শাহবাগে আন্দোলন হলো, সেখানেও রোজ কেউ না কেউ আমার কোনো না কোনো কবিতা আবৃত্তি করেছে। মানুষ প্রেমে পড়তে গিয়েও আমার কবিতা পড়ছে। প্রেমে মজেও পড়ছে। আবার প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েও পড়েছে। আমার কবিতার মাঝে যেন একক আমি সবার কথাই বলেছি। তাই হয়তো এমনটা হতে পারে।’
প্রকাশ্যে অনেকে বলেন, কবিতা, প্রেম, আলস্য, আত্মপীড়ন, নিভৃতবাস এবং সময়ের অপচয়- এসব নিয়েই কবি হেলাল হাফিজ। তরুণরা তাকে বলে ‘আমাদের কবি’। কারণ তার কবিতায় খুঁজে পায় সমসাময়িক বিষয়াবলী, সমাজের নানান আকাঙ্ক্ষা, অসঙ্গতি, অন্যায় ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে অকুতোভয় বিদ্রূপাত্মক সমালোচনা। সেই সঙ্গে নিজেদের ব্যক্তিগত গল্প। অল্প লিখে গল্প হওয়া কবিদের অন্যতম হেলাল হাফিজ তাই আজও তরুণদের প্রিয়। মনকাড়া কবিতা কর্মের জন্য তার কালের সতীর্থদের কাছেও ঈর্ষণীয়।
তার কবিতা মনোভূমের যাবতীয় হতাশা, নৈরাশ্য, শঙ্কা ও বঞ্চনার প্রবল উপস্থিতির কারণে তার কবিতার পঙক্তি নিরাশার মধ্যে এক মোহময় অন্তর্জাল তৈরি করে। সাধারণের স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ, দুঃখ-কষ্ট, অপ্রাপ্তির বেদনাকে নিজের ভেতরে আত্মস্থ করে সেসব আবার সবাইকে বলার জন্য পুনরায় লেখায় মনোনিবেশ করেছেন কালোত্তীর্ণ কবিতার এ জনক।
অসম্ভব ক্ষুধা ও তৃষ্ণা ছিল,
সামনে যা পেলো খেলো,
যেন মন্বান্তরে কেটে যাওয়া রজতজয়ন্তী শেষে
এসেছে সে, সবকিছু উপাদেয় মুখে।
গাভিন ক্ষেতের সব ঘ্রাণ টেনে নিলো,
করুণ কার্নিশ ঘেঁষে বেড়ে ওঠা লকলকে লতাটিও খেলো,
দুধাল গাভীটি খেলো
খেলো সব জলের কলস।
শানে বাধা ঘাট খেলো
সবুজের বনভূমি খেলো
উদাস আকাশ খেলো
কবিতার পাণ্ডুলিপি খেলো।
দু’পায়া পথের বুক, বিদ্যালয়
উপাসনালয় আর কারখানার চিমনি খেলো
মতিঝিলে স্টেটব্যাংক খেলো।
রাখালের অনুপম বাঁশিটিকে খেলো,
মগড়ার তীরে বসে চাল ধোয়া হাতটিকে খেলো
স্বাধীনতা সব খেলো, মানুষের দুঃখ খেলো না। (যে ভাবে এলো)
কবিরাই পারে পাওয়া না পাওয়ার হিসেব জাতীর কাছে খোলা মনে বলতে। ফলে কবি জীবন এবং প্রকৃতিকে যে নিবিড় পাঠে সক্ষম সে কবির অন্তরে লালিত সূক্ষ্ম চেতনা পরিবর্তিত সময়ের বাস্তবতায় কবিতায় ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হন। হেলাল হাফিজ তার কবিতায় প্রকৃতির সঙ্গে মানবজীবনের সরল যোগসূত্র স্থাপন করেন। তবে কবিতার অন্তর্গত বহুমাত্রিক ছায়ারাজ্যে বিচরণ করে হেলাল হাফিজ কিসের সন্ধানে ব্রতী?
‘কার পুড়েছে জন্ম থেকে কপাল এমন
আমার মতো ক’জনের আর
সব হয়েছে নষ্ট,
আর কে দেবে আমার মতো হৃষ্টপুষ্ট কষ্ট।’
খ্যাতি ও অখ্যাতির টানাপোড়নে, হয়তোবা নিজেকে নিজে উতরাতে পারা না-পারার এক অদ্ভুত আতঙ্কে, হতে পারে স্ব-আরোপিত হতাশা, কিংবা গোপন কোনো অভিমানে এই নিভৃত জীবন বেছে নেন স্বপ্নচারী মানুষটি। তবু বাংলা কবিতায় হেলাল হাফিজ একটি প্রবাদতুল্য নাম। দুটি মাত্র কাব্যগ্রন্থ লিখে এই কবি যে পরিমাণ খ্যাতি পেয়েছেন তার তুল্য অন্য কেউ নেই। হেলাল হাফিজ আজকের মৌলিক কবি, নন্দিত কবি। নিভৃত সোচ্চার কবি, প্রেমে বিপ্লবে প্রাসঙ্গিক!
লেখক: ইমরান মাহফুজ, কবি, গবেষক
Comments