ডোবা-নালা-খাল অপরিষ্কার থাকলে ২০ অক্টোবর থেকে ব্যবস্থা নেবে ডিএনসিসি
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/dncc.jpg?itok=8TP_Kdpc×tamp=1602070835)
খাল, ডোবা-নালা অপরিষ্কার পাওয়া গেলে আগামী ২০ অক্টোবর থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এর মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এক্ষেত্রে সরকারি, বেসরকারি কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন যে কোন সংস্থাই হোক না তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর মিরপুরের দক্ষিণ বিশিলে গোদাখালী খাল পরিষ্কার কার্যক্রম ও খাল থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন মালামাল পরিদর্শন করে একথা জানান মেয়র।
আতিকুল বলেন, ‘কিউলেক্স মশা থেকে সুরক্ষা দিতে আগামী ২০ অক্টোবর থেকে ডিএনসিসি এলাকার খাল, ডোবা-নালা পরিদর্শন করা হবে। এগুলো পরিষ্কার পাওয়া না গেলে আমরা ‘ফাইন’ করব। সরকারি, বেসরকারি কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন যে কোন সংস্থাই হোক না কেন, তাকে ফাইন করা হবে। আমি সেই সংস্থা বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’
মেয়র বলেন, ‘খালগুলো থেকে আমরা কী কী পাচ্ছি, এখানে তার কিছু নমুনা এই প্রদর্শনীতে রেখেছি। বিভিন্ন খাল থেকে আমরা শতাধিক জাজিম, কয়েক ডজন সোফা, টেলিভিশনের খোলস, ভাঙ্গা ফ্রিজ, সুটকেস, বালিশ, ২০০ ট্রাক ডাবের খোসা পেয়েছি। কিন্তু এটা কেন? আমরা কবে এই শহরকে ভালোবাসবো? আমি বারবার বলছি, একটু বৃষ্টি হলেই খাল ভরে যায় এবং ‘ওভারফ্লো’ করে, জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, বিদেশে খালগুলো ব্যবহার করে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট লাইন হচ্ছে। অথচ এটা খুব দুঃখজনক আমাদের খালগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে, খালের ওপর বাড়ি, মাঠ হচ্ছে। খাল নিয়ে সবাই ব্যবসা করছে।
মেয়র আরো বলেন, আমরা খাল পরিষ্কার করছি, কিন্তু খাল পরিষ্কার করার কথা আমাদের ছিল না। খাল পরিষ্কার করার কথা অন্য একটি সংস্থার। তারপরও আমরা, আমাদের কাউন্সিলররা মনে করেছি সবাই মিলে খাল পরিষ্কার করতে হবে। তাই আমরা কারো জন্য বসে না থেকে নিজেরা পরিষ্কার করছি।
এসময় তিনি খাল দখল না করতে, খালে ময়লা না ফেলতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
পরিদর্শনকালে অন্যদের সঙ্গে ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
Comments