সুযোগ নষ্টের মহড়া দিয়ে ড্র করল স্পেন-পর্তুগাল
একপেশে প্রথমার্ধে অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করল স্পেন। কিন্তু ফরোয়ার্ডরা জালের ঠিকানা খুঁজে পেলেন না। বিরতির পরও গোল মিসের ধারা অব্যাহত রাখলেন তারা। তবে ম্যাচের স্বাভাবিক গতির বিপরীতে পর্তুগাল বেশ কয়েকবার ভীতি ছড়াল স্প্যানিশদের রক্ষণে। কিন্তু তারাও নিশানা ভেদ করতে ব্যর্থ হলো।
বুধবার রাতে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের এস্তাদিও জোসে আলভালাদেতে গোলশূন্য ড্র হয়েছে ইউরোপের দুই পরাশক্তির প্রীতি ম্যাচটি।
ম্যাচজুড়ে আক্রমণাত্মক ও ছন্দময় ফুটবল উপহার দেয় অতিথিরা। বল দখল থেকে গোলমুখে শট নেওয়া, সবখানেই এগিয়ে ছিল লুইস এনরিকের দল। তবে জড়সড় থাকলেও খেলায় সেরা সুযোগগুলো পেয়েছিল স্বাগতিক পর্তুগিজরাই। দ্বিতীয়ার্ধে দুবার স্পেনের ক্রসবার কাঁপায় তারা। প্রথমে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, পরে রেনাতো সানচেস। আর একদম শেষ সময়ে ফাঁকা জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন বদলি নামা জোয়াও ফেলিক্স।
প্রথমার্ধেই ফার্নান্দো সান্তোসের শিষ্যদের গোলপোস্টে দশটি শট নেয় স্পেন। শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে তারা। দলটি এগিয়ে যেতে পারত দ্বিতীয় মিনিটেই। দানি অলমোর বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পর্তুগালের রক্ষণ দেয়াল ভেঙে গোল করার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন জেরার্দ মোরেনো। ছুটে বেরিয়ে এসে এই ফরোয়ার্ডের প্রচেষ্টা রুখে দেন গোলরক্ষক রুই প্যাত্রিসিও।
তিন মিনিট পর অলমো বল ফেলেছিলেন ছোট ডি-বক্সে। কিন্তু পা ছোঁয়ানোর মতো তার কোনো সতীর্থ সেখানে ছিল না। একাদশ মিনিটে ফরোয়ার্ড রদ্রিগো মোরেনোর দূরপাল্লার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটে তরুণ মিডফিল্ডার অলমো শট নিলেও স্বাগতিক গোলরক্ষককে বিপাকে ফেলতে পারেননি।
১৭ মিনিটে রদ্রিগো ও ১৯তম মিনিটে জেরার্দের শট রুখে পর্তুগালকে ম্যাচে রাখেন প্যাত্রিসিও। কিছু সময় বাদে ফের অলমোকে হতাশ করেন তিনি। ম্যাচের ২৫তম মিনিটে স্পেনের গোলমুখে প্রথম শটটি নেয় পর্তুগাল। সানচেসের দূর থেকে নেওয়া শট ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়।
৪৩তম মিনিটে স্পেনের ডি-বক্সের ভেতরে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি রাফায়েল গেরেরো। এর পরপরই জোয়াও মৌতিনহোর ফ্রি-কিকে প্রতিপক্ষের অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ফেলেছিলেন রোনালদো। কিন্তু তার হেড পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগাকে।
দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে গোলবঞ্চিত হন সময়ের অন্যতম সেরা তারকা রোনালদো। তার বাঁ পায়ের বুলেট গতির শট ক্রসবারে বাধা পায়। ফিরতি বলে হেড করলেও সুবিধা করতে পারেননি সানচেস।
৬৭তম মিনিটে আবারও খলনায়ক ক্রসবার। পাল্টা আক্রমণে রোনালদোর ক্রসে সানচেসের ভলি গোললাইনে পড়ে ফিরে আসে। পাঁচ মিনিট পর বদলি ফরোয়ার্ড আদামা ত্রাওরের কাটব্যাকে অলমোর নেওয়া শট ফের প্যাত্রিসিওকে ফাঁকি দিতে ব্যর্থ হয়।
৭৫তম মিনিটে ত্রিনকাওয়ের প্রচেষ্টা রুখে দিয়ে ম্যাচের স্কোরলাইনে পরিবর্তন আনতে দেননি আরিজাবালাগা। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে সার্জিও রামোসের হেডও গোলপোস্টের অনেকটা উপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
যোগ করা সময়ের তৃতীয় ও শেষ মিনিটে জয় ছিনিয়ে নিতে পারত পর্তুগাল। রুবেন নেভেসের কর্নারে হেড করে দূরের পোস্টের একেবারে সামনে বল ফেলেছিলেন রুবেন সেমেদো। কিন্তু তরুণ ফরোয়ার্ড ফেলিক্স অবিশ্বাস্যভাবে পা বাড়িয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি। বল তার পায়ের নিচ দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়।
উয়েফা নেশন্স লিগে আগামী রবিবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে পর্তুগাল। একই দিনে স্পেন মুখোমুখি হবে সুইজারল্যান্ডের।
Comments