ইউক্রেনের জালে জিরু-এমবাপে-গ্রিজমানদের ৭ গোল
শততম ম্যাচে জোড়া গোল করলেন অলিভিয়ের জিরু। বদলি নেমে শেষ দিকে জালের ঠিকানা খুঁজে নিলেন কিলিয়ান এমবাপে ও আতোঁয়ান গ্রিজমান। তাতে ইউক্রেনকে গোল বন্যায় ভাসাল বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।
বুধবার রাতে স্তাদে দে ফ্রান্সে স্বাগতিকরা জিতেছে ৭-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে। তাদের হয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা আর কোরেনতিন তোলিসোও। অন্য গোলটি আত্মঘাতী। অতিথিদের হয়ে সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন ভিক্তর তিশানকভ।
শুরু থেকে ইউক্রেনকে চাপে রেখে তরুণ মিডফিল্ডার কামাভিঙ্গার দর্শনীয় ওভারহেড কিকে নবম মিনিটে এগিয়ে যায় ফরাসিরা। জাতীয় দলের জার্সিতে এটাই তার প্রথম গোল। ২৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন চেলসি স্ট্রাইকার জিরু। ২০ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে জাল কাঁপান তিনি। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের কোনো সুযোগই ছিল না বলের নাগাল পাওয়ার।
৩৪তম মিনিটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান জিরু। হোসেম আওয়ারের শট গোলরক্ষক ফিরিয়ে দেওয়ার পর ফিরতি বলে ঝাঁপিয়ে হেড করে মিশেল প্লাতিনিকে ছাড়িয়ে যান তিনি। ফ্রান্সের হয়ে তার গোল এখন ৪২টি। কিংবদন্তি প্লাতিনি করেছিলেন ৪১ গোল।
৩৯তম মিনিটে ভিতালি মিকোলেঙ্কো নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে দিলে ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দিদিয়ের দেশামের দল। দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে অবশ্য ব্যবধান কমায় সফরকারীরা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে তিশানকভ করেন অসাধারণ এক গোল।
তবে ইউক্রেনকে ম্যাচে ফেরার কোনো সুযোগ না দিয়ে আরও তিনবার গোল উৎসব করে ফরাসিরা। এমবাপের কাছ থেকে বল পেয়ে দূরপাল্লার বাঁকানো শটে গোলদাতাদের তালিকায় নাম লেখান বায়ার্ন মিউনিখের মিডফিল্ডার তোলিসো।
৮২তম মিনিটে গোল পান প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ফরোয়ার্ড এমবাপে। ডি-বক্সে ঢুকে তিন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। সাত মিনিট পর বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড গ্রিজমান ইউক্রেনের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন।
উয়েফা নেশন্স লিগে আগামী রবিবার পর্তুগালের বিপক্ষে মাঠে নামবে ফ্রান্স। তার আগের দিন জার্মানির বিপক্ষে খেলবে ইউক্রেন।
Comments