এত অভিজ্ঞতার পরও এমন হারে হতাশা ফ্লেমিংয়ের

ms dhoni
ছবি: আইপিএল ওয়েবসাইট

যে ম্যাচে কিনা অনায়াসে জেতার কথা ছিল, সেই ম্যাচে দুই ওভার আগেই হার প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় চেন্নাই সুপার কিংসের। নাগালের মধ্যে থাকা রান তাড়ায় টপ অর্ডারের ভালো শুরু রুগ্ন ব্যাটিংয়ে নষ্ট করেছেন বাকিরা। সেই বাকিদের মধ্যে আছেন অভিজ্ঞ অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি, কেদার যাদবরা। কোচ স্টিভেন ফ্লেমিং তাই হতাশা আড়াল করেননি।

বুধবার রাতে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ১৬৭ রানে আটকে রেখেছিল চেন্নাই। রান তাড়ায় নেমে শুরুটাও হয় ভালো। দলের ৩০ রান ফাফ দু প্লেসি ফিরে গেলেও শেন ওয়াটসন আর আম্বাতি রাইডু মিলে রান আনছিলেন সহজেই।

দ্বাদশ ওভারেই তিন অঙ্কের কিনারে চলে গিয়েছিল দল। ওভারপ্রতি ৮ রানের মতন করে নিতে হতো তাদের।  হাতে উইকেট থাকায় বাকিটা তুলে ফেলা ছিল সহজ সমীকরণ। কিন্তু রাইডুর আউটের পর বদলে যায় দৃশ্যপট। ফিফটি করে ফিরে যান ছন্দে থাকা শেন ওয়াটসনও। চারে নেমে অধিনায়ক ধোনি মেটাতে পারেননি দলের চাহিদা। ডট বলে উলটো বাড়িয়েছেন চাপ।

১২ বল খেলে ধোনি থামেন ১১ রান করে। ইংলিশ অলরাউন্ডার স্যাম কারান ঝড়ের আভাস দিয়েই ফেরেন ১৭ রান করে। তবে দৃষ্টিকটু ছিল কেদার যাদবের ব্যাটিং। ১২ বল খুইয়ে তিনি ওই পরিস্থিতিতে করতে পেরেছেন কেবল ৭ রান। রবীন্দ্র জাদেজা ৮ বলে ২১ করলেও হারের ব্যবধানই কেবল কমেছে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ধোনি-যাদবের অনেকগুলো বল নষ্টের খেসারত দেয় চেন্নাই।

ম্যাচ শেষে ব্যাটসম্যানদের কাঠগড়ায় দাঁড় করেছেন ফ্লেমিং, বিশেষ ইঙ্গিত করেছেন অভিজ্ঞদের প্রতি,   ‘বোলাররা ১৬০ এর আশেপাশে লক্ষ্যটা এনে দিয়েছিল। আমাদের ব্যাটসম্যানরা আজ বোলারদের অর্জন মাটি করে দিল।’

‘আমাদের দলের যে অভিজ্ঞতা তাতে অনায়াসে জেতা উচিত ছিল।’

এদিন অফ স্পিনার সুনিল নারাইনের ওভার হাতে রেখে দিয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক। রাইডু আউট হতেই আক্রমণে আনেন নারাইনকে। নারাইনের বিরুদ্ধে বরাবরই নড়বড়ে ধোনি  ভুগেছেন বিস্তর। ফ্লেমিংয়ের মতো এখানেই ঘুরে গেছে খেলা,  ‘আজ তারা নারাইনের ওভার রেখে দিয়েছিল। যেটা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়।’

আচমকা ধসে জেতা খেলা হেরে যাওয়ায় মনে হতে পারে শেষ দিকে ব্যাটসম্যানের অভাবে ভুগছে চেন্নাই। কিন্তু ফ্লেমিং মনে করিয়ে দিলেন ৮ ব্যাটসম্যান আর ৬ বোলারের ভারসাম্য নিয়ে খেলছেন তারা,  ‘আমাদের অনেক ব্যাটসম্যান আছে, আবার ছয়জন বোলারও খেলাতে পারছি। ব্র্যাভো ৮ নম্বরে ব্যাট করছে। আমরা তাকে ব্যবহারই করতে পারছি না। আমার মনে হয় না বাড়তি ব্যাটসম্যান কোন সাহায্য করবে।’

 

Comments

The Daily Star  | English

What we expect from a people-centric health budget

We must strongly advocate for a people-centric health budget.

8h ago