ঢামেকে ভুয়া নিয়োগপত্রসহ আটক ৩

ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য সচিবের স্বাক্ষর ও জাল নিয়োগপত্রসহ তিন জনকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য সচিবের স্বাক্ষর ও জাল নিয়োগপত্রসহ তিন জনকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদের কক্ষে ভুয়া নিয়োগপত্র নিয়ে এক যুবক প্রবেশ করেন। তিনি কাজে যোগ দিতে এসেছেন বলে জানান। এ সময় উপপরিচালকের সন্দেহ হলে তিনি আনসার সদস্যদের দিয়ে তাকে আটক করান। পরে আরও দুজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে একজন আনসার সদস্যও আছেন।

এ বিষয়ে উপ-পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, ‘সকালে ভুয়া নিয়োগপত্র নিয়ে এহসান আহমেদ নামে একজন আসে আমার কাছে। সে জানায় ঢাকা মেডিকেলে তার ওয়ার্ড বয় হিসেবে তার চাকরি হয়েছে। এটি তার নিয়োগপত্র। পরে নিয়োগপত্রের কাগজটি দেখেই আমাদের সন্দেহ হয়। কাগজের প্রথমেই লেখা বাংলাদেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এমন কোনো মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরপর কাগজের বিভিন্ন লেখা দেখে স্পষ্ট হয় এটি ভুয়া নিয়োগপত্র। ভুয়া নিয়োগপত্রের নিচে স্বাস্থ্য সচিবের স্বাক্ষরও জালিয়াতি করা হয়েছে। পরে বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালককে জানালে তিনি শাহবাগ থানায় জানান। এরপর থানা পুলিশ এসে তিন জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি মামলা দায়ের করবে।’

শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সেলিম জানান, ঢাকা মেডিকেল থেকে তিন জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে এহসান আহমেদ গোপালগঞ্জ মোকসেদপুরের বাসিন্দা। মূলত তার চাকরির জন্যই ভুয়া নিয়োগপত্র নিয়ে এহসানের মামা বদরুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে এসেছিল। তাদের সঙ্গে ছিল ভুয়া নিয়োগপত্র। তাদের সঙ্গে ছিল বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের আনসার সদস্য কামরুল হাসান (৩৫)। এই তিন জনকে আটক করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেলে কর্মরত আনসারের এপিসি আলমগীরও জড়িত আছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে, সে করোনা পজিটিভ হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে করোনা ইউনিটে ভর্তি আছে। সে করোনা থেকে সুস্থ হলে তাকেও আটক করা হবে।’

ভুক্তভোগী এহসানের মামা বদরুজ্জামান বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে এমএলএসএসের চাকরি করি। সেখানকার আনসার সদস্য কামরুল হাসানের সঙ্গে পরিচয় হয়। তার মাধ্যমেই আমার ভাগিনাকে ঢাকা মেডিকেলে মাস্টাররোলে ওয়ার্ডবয় হিসেবে চাকরি দেওয়ার জন্য দুই দফায় পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়। চাকরি হলে আরও ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। তার সঙ্গে ঢাকা মেডিকেলের এক আনসার ও মশিউর নামে আরেক ব্যাক্তি জড়িত আছে। তাদের দেওয়া নিয়োগপত্র নিয়েই আজ আমার ভাগিনাকে চাকরিতে যোগদান করাতে এসেছিলাম। এখানে এসে জানতে পারি এসবই ভুয়া। এখানে চাকরির কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়নি।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago