সীমান্ত হত্যা নিয়ে কেউ সাফাই গাইতে চায় না: ভারতীয় হাইকমিশনার

সীমান্ত হত্যা নিয়ে কেউ সাফাই গাইতে চায় না উল্লেখ করে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ড পুরোপুরি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত।
বাংলাদেশে নিযুক্ত নতুন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। ছবি: ইউএনবি

সীমান্ত হত্যা নিয়ে কেউ সাফাই গাইতে চায় না উল্লেখ করে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ড পুরোপুরি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত।

বাংলাদেশে নিযুক্ত নতুন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের অনুভূতি পুরোপুরি বুঝতে পারি। হত্যা নিয়ে কেউ সাফাই গাইতে চায় না।’

ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনে গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রথম মতবিনিময়ে এ কূটনীতিক বলেন, এ অনুভূতিটি ভারতের দিকেও রয়েছে এবং সীমান্তে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনাগুলো বন্ধ করতে দুই দেশই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

হাইকমিশনার বলেন, ইস্যুটি মূলত আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত বিষয় যা আইন-শৃঙ্খলার রীতি অনুযায়ী সমাধান করতে হবে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনার সময় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে মৃত্যুর বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছিল বাংলাদেশ।

সেসময় সমন্বিত সীমান্ত পরিচালনা পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করার ওপর জোর দেয় ঢাকা-দিল্লি।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা বৃদ্ধিতে ‘পুরো জাতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’ বলে উল্লেখ করেছিল বাংলাদেশ।

সীমান্তে প্রাণহানির বিষয়টি উদ্বেগের বলে একমত প্রকাশ করে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, একজনের মৃত্যুও অনেক বেশি।

উভয় পক্ষই সীমান্তে হত্যার ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনতে সমন্বিত ব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে আহ্বান জানায়।

কোভিড ভ্যাকসিন, সংযোগ

এক প্রশ্নের জবাবে দোরাইস্বামী বলেন, কোভিড ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা, যৌথ-উৎপাদন ও বিতরণসহ এটি উন্নয়নের সব দিক নিয়ে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে আরও দৃঢ় অংশীদারিত্ব বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, ‘এমন উপায়ে আমরা এটি করতে চাই যাতে সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। আমরা আপনাদের সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাব।’

এ ছাড়া, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে এসে যেন বিনিয়োগ করতে পারেন সে লক্ষ্যে কাজ করার কথাও জানান দোরাইস্বামী।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী সম্পর্ক পুনর্গঠনের জন্য অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ হবে।

এর আগে, বাংলাদেশ ও ভারত পানি বণ্টন সমস্যার সমাধান এবং সীমান্ত হত্যাকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সম্মত হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বাংলাদেশে এসে পৌঁছান এবং পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে তার পরিচয়পত্র জমা দেন।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

10h ago