৯৯৯-এ রক্ষা পেলেন গৃহবধূ
নোয়াাখালীর বেগমঞ্জের জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে একদল সন্ত্রাসীর হাত থেকে রক্ষা পেলেন প্রবাসীর স্ত্রী। তবে, ভয়ে ওই এলাকা ছেড়েছেন ওই নারী।
গতকাল রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের চাঁদ কাশিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আজ শুক্রবার দুপুরে ওই গৃহবধূ বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারী নারী মুঠোফোনে জানান, সাদ্দাম ও তার সহযোগী দুখু, ইমন, সোহাগ, ফরহাদসহ ৭-৮ জন দীর্ঘদিন থেকে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বরাবরই তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। এতে সাদ্দাম ও তার লোকজন ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। অব্যহত হুমকির মুখে তিনি সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। বাড়িতে শ্বাশুড়ি একা থাকেন। তার অসুস্থতার খবর শুনে গত ২ দিন আগে তিনি বাবার বাড়ি থেকে শাশুড়ীকে দেখতে আসেন। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সাদ্দাম ও তার লোকজন দফায় দফায় বাড়িতে এসে তাকে কুপ্রস্তাব দেন। তিনি রাজি না হওয়ায় তারা হুমকি দিয়ে চলে যান। রাতে সাদ্দাম ও তার লোকজন বাড়ির ছাদের ওপর ইয়াবা সেবন করে। রাত ১২টার দিকে তারা ঘরের দরজার কড়া নাড়ে।
তিনি বলেন, ‘তখন ভয়ে শরীর কাপছিল। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা বাড়ির দরজা ও জানালায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এ সময় তিনি ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশকে ঘটনা জানান। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১ টার দিকে তার বাড়িতে এসে হাজির হন।’
পুলিশ আসার খবর শুনে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ ওই নারীকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন।
গৃহবধূর মা মুঠোফোনে বলেন, ‘এ ঘটনার পর থেকে আমার মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। থানায় অভিযোগ দিয়ে আসার পর ভয়ে ও অপমানে মাথা ঘুরে পড়ে গেছে। আমি আমার মেয়ের সংসার ও ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত।’
অভিযোগ আছে গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য অজি উল্যাহ মেম্বার সাদ্দাম বাহিনীর পৃষ্টপোষক। এ ব্যাপারে অজি উল্যাহ মেম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হুদা মিন্টু বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে দুটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। এর মধ্যে সাদ্দাম বাহিনীর পৃষ্টপোষক অজি উল্যাহ মেম্বার। অপর বাহিনীর পৃষ্টপোষক জামায়াত শিবিরের নেতা মামুন হুজুর ও জসিম হুজুর। এ দুটি বাহিনী বেশি সক্রিয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রবাসীর বাড়িতে হামলার ঘটনা আমাকে কেউ জানায়নি। এসব ঘটনায় সন্ত্রাসীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও কিছুদিন পর আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় অপকর্ম শুরু করে। ইউনিয়নের প্রতিটি পাড় মহল্লায় ইয়াবা সেবন ও বেচা-কেনার মতো অপরাধের ঘটনা ঘটছে।’
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রবাসীর স্ত্রীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
Comments