আসন্ন শীতে সীমান্তে চীনের প্রস্তুতি

শীতকালেও তিব্বতের ভারত-চীন সীমান্তে সেনা টহল ও নিজেদের আধিপত্য টিকিয়ে রাখায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে চীন।
গত জুনে ভারত-চীন সীমান্তে উড়ছিল ভারতীয় যুদ্ধবিমান। ছবি: এএফপি

শীতকালেও তিব্বতের ভারত-চীন সীমান্তে সেনা টহল ও নিজেদের আধিপত্য টিকিয়ে রাখায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে চীন।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে নিজেদের আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে তিব্বতের প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও টহলের জন্য অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করছে চীন।

যদিও তীব্র শীতে উভয় পক্ষেরই পিছিয়ে পড়ার সুযোগ আছে।

চীনা সামরিক বাহিনীর সূত্র জানায়, পূর্ব ও উত্তর দিকের সেনা ইউনিটকে এবং পশ্চিম তিব্বতের সম্মুখসারির সেনাদের জন্য আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহকেই এখন পিপলস লিবারেশন আর্মি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

সূত্রটি বলছে, ‘গত ২০ সেপ্টেম্বর তিব্বত সীমান্তে নতুন একটি শীতকালীন যুদ্ধের গিয়ার পরীক্ষা করা হয়েছে। তিব্বতের তীব্র শীতে সেনাদের পোশাকেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। সম্মুখসারীর সেনাদের কাছে ইতোমধ্যেই সেগুলো পৌঁছে গেছে।’

দ্রুত তিব্বতে শীতকালীন সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে চীনা সেনাবাহিনীর লজিস্টিক বিভাগ এমনকি চীনের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তে, যেখানে তীব্র ঠাণ্ডা পড়ে, সেখানকার ইউনিটে থাকা সরঞ্জামগুলো তিব্বতে পাঠাতে শুরু করেছে।

শীতকালীন সরঞ্জামের মধ্যে থারমাল হুডস, শীতের প্রশিক্ষণ পোশাক, ওভারকোট, আর্দ্রতা শোষণকারী ও দ্রুত শুকায় এমন পোশাক, ওয়াটারপ্রুফ থার্মাল গ্রাভস ও মোজা, অ্যান্টিগ্লেয়ার চশমা ও মাল্টিফাংশন থার্মাল ওয়াটার বোতল পাঠানো হয়েছে।

গত সপ্তাহে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র পিপলস ডেইলি জানায়, পিএলএ তিব্বত সীমান্তে শীতকালের জন্য নতুন ব্যারাক তৈরি করেছে, যেখানে হিটার ও অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা আছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যারাকের হিটারগুলো মূলত সৌরশক্তি দিয়ে চলে। বাইরে মাইনাস ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলেও আধুনিক হিটারগুলো ভেতরে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রাখবে। এতে করে সেনাদের প্রশিক্ষণ ও টহল অব্যাহত থাকবে।

গত জুন মাসে লাদাখ সীমান্তে চীন ও ভারতের সংঘর্ষের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে। সম্প্রতি, দুই দেশ নতুন করে সেনা মোতায়েন না করা ও উত্তেজনা নিরসনের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে এখন পর্যন্ত সেনা প্রত্যাহারের কোনো নজির দেখা যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English
‘No rule of game’ in collecting remittance

Remittance inflow climbs 21% in November

Migrant workers sent home $1.93 billion in November this year, which was $1.59 billion in the same month last year.

1h ago