পিরোজপুরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

পিরোজপুরের নাজিরপুরে অন্যের জমির দখল দিতে গিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।

আজ শনিবার সকালে এবং দুপুরে নাজিপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়নের চৌঠাইমহল বাস টার্মিনালে প্রথম দফায় এবং শ্রীরামকাঠি বাজারের কাপড়িয়া পট্টিতে দ্বিতীয় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এর একপক্ষে ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. তরিকুল ইসলাম চৌধুরী তাপসের সমর্থকরা এবং অন্য পক্ষে ছিলেন শ্রীরামকাঠি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান মিঠুর সমর্থকরা।

ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ শ্রীরামকাঠি বাজারের কাঠালতলা এলাকায় ১৮ শতাংশ জমি নিয়ে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে একাধিক সালিসও হয়েছে। সম্প্রতি ওই জমির দখল দিতে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক তাপস একটি পক্ষ এবং শ্রীরামকাঠি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিঠু অন্য পক্ষে অবস্থান নেন। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে তাপস এবং মিঠুর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এমনকি গত বৃহস্পতিবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে শ্রীরামকাঠি বাজারে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।

আজ সকালে শ্রীরামকাঠি থেকে সমর্থকদের নিয়ে মোটরসাইকেলে নাজিরপুর যাচ্ছিলেন যুবলীগ নেতা মিঠু। সেখান থেকে ফেরার পথে চৌঠাইমহল বাসস্ট্যান্ডের কাছে মিঠুর লোকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় তাপসের নেতৃত্বাধীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। এ ঘটনার পর শ্রীরামকাঠিতে ছাত্রলীগ নেতা তাপসের দুই কর্মীকে মারধোর করে মিঠুর সমর্থকরা।

মিঠু অভিযোগ করে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘নাজিরপুর থেকে শ্রীরামকাঠিতে ফেরার পথে চৌঠাইমহল বাসস্ট্যান্ডের কাছে ছাত্রলীগ নেতা তাপসের নেতৃত্বে রড ও জিআই পাইপ নিয়ে আমার লোকদের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় আমার বহরে থাকা ৮টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। তবে, আমরা প্রতিরোধ গড়ে তোলার পর হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে যায়।’

মিঠুর অভিযোগ অস্বীকার করে তাপস বলেন, ‘শ্রীরামকাঠি থেকে নাজিরপুর আসার পথে কিছু স্থানে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারধর করেছে মিঠুর লোকজন। এ ছাড়া, মিঠু দল পাল্টে হঠাৎ করে যুবলীগ নেতা হয়েছেন। এর আগেও শ্রীরামকাঠিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মিঠুর লোকজন মারধোর করেছিল।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন খান বলেন, ‘শ্রীরামকাঠি বাজারে ওই জমি তাপস কিংবা মিঠুর কোনো আত্মীয়-স্বজনের নয়। ফলে, অন্যের জমি দখলে দিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ত হওয়ার ঘটনায় বিব্রত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। দলের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’

অন্যের জমি দখলে দিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা এবং এদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দলের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে থানায় কোনো পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের কঠোর নজরদারি আছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Conspiracy rife to wipe out Tarique Rahman: Fakhrul

He also said the propaganda against BNP is part of a deliberate conspiracy to destroy nationalist forces

43m ago