গডফাদার ও দুর্বৃত্তমুক্তির দাবিতে এমসি কলেজে ‘লাল নিশান’ উড্ডয়ন

সিলেট নগরীর এক প্রান্তে টিলাগড় এলাকা। যেখান আছে মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ, সিলেট সরকারি কলেজ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।
মুরারিচাঁদ কলেজের প্রধান ফটকের সামনে উড্ডয়ন করা হয় বিপদ সংকেতের ‘লাল নিশান’। ছবি: স্টার

সিলেট নগরীর এক প্রান্তে টিলাগড় এলাকা। যেখান আছে মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ, সিলেট সরকারি কলেজ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।

প্রায় দেড় যুগ সময় ধরে গ্রুপিং রাজনীতির কারণে এই এলাকা পরিণত হয়েছে একটি ‘ডেঞ্জারজোনে’। যেখানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে অন্তত আট জনের।

সর্বশেষ মুরারিচাঁদ কলেজের ছাত্রাবাসে সরকারদলীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ছায়ায় লালিত কিছু তরুণের দ্বারা সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী।

এ ছাড়াও মারামারি, ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, যৌন নিপীড়ন, ছিনতাইসহ নানা ঘটনাতে এসব রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের অংশগ্রহণ আছে।

টিলাগড়কেন্দ্রীক রাজনীতির গডফাদার এবং তাদের ছত্রছায়ায় থাকা দুর্বৃত্তদের সরিয়ে এ এলাকার জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করার দাবিতে এক অনন্য প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করেছে সিলেটে নবগঠিত একটি নাগরিক প্ল্যাটফর্ম  ‘দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা’।

তারা মুরারিচাঁদ কলেজের প্রধান ফটকের সামনে উড্ডয়ন করেছেন বিপদ সংকেতের ‘লাল নিশান’।

আজ শনিবার বিকেলে টিলাগড় পয়েন্ট থেকে মিছিল করে মুরারিচাঁদ কলেজ ফটকের সামনে এসে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ‘দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা’-এর সংগঠক আব্দুল করিম কিম, আশরাফুল কবির, দেবাশীষ দেবু ও অন্যান্যরা।

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠান এবং এই এলাকায় অসংখ্য দর্শনার্থী আসে, তাই এই ক্যাম্পাস সবসময়ই উন্মুক্ত-অবারিত থাকা উচিত। কিন্তু, কিছু গডফাদারের আশ্রয়ে এই প্রতিষ্ঠান এবং আশেপাশের এলাকা পরিণত হয়েছে সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তদের অভয়ারণ্যে’।

তারা বলেন, ‘আমরা গডফাদারমুক্ত-সন্ত্রাসীমুক্ত এমসি কলেজ ও টিলাগড় চাই। আমরা চাই এই কলেজ, এ অঞ্চল মানুষের বাসযোগ্য এবং দর্শনার্থী-পর্যটকদের জন্য নিরাপদ হবে। তাই সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদারদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago