সুর্বণচরে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চর জব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনা সালিশে বিচার ও ৩০ হাজার টাকায় ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চরক্লার্ক ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য মাহে আলমের বিরুদ্ধে। সেইসঙ্গে ঘটনার পরপরই পুলিশ থানায় ধর্ষণ অভিযোগ নেয়নি বলেও অভিযোগ করেছে কিশোরীর পরিবার।
কিশোরীর পরিবার জানায়, সোলেমান বাজার এলাকার আরিফ হোসেন গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে কিশোরীকে বাড়ির বাইরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ২৮ সেপ্টেম্বর আবারও কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়।
কিশোরীর মা জানান, এ ঘটনায় পরদিন তিনি চরজব্বার থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ লিখে ওসি শাহেদ উদ্দিনের কাছে গেলে তিনি অভিযোগ না নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে সালিশের মাধ্যমে ঘটনাটি মীমাংসা করার কথা বলে ফিরিয়ে দেন। এরপর তিনি চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মাহে আলম মেম্বারকে ঘটনাটি জানান। তিনি গত ৪ অক্টোবর স্থানীয় সোলেমান বাজারে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন। এতে দুই শতাধিক লোককে উপস্থিতিতে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ ঘটনার বর্ণনা দিতে বাধ্য করা হয়। এতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে কিশোরীটি।
সালিশে আরিফ ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করলে মাহে আলম তাকে আলাদা ডেকে নিয়ে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে মীমাংসার কথা বললে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন বলেও জানান কিশোরীর মা।
ইউপি সদস্য মাহে আলম সালিশ করার কথা স্বীকার করলেও টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেননি বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে চরক্লার্ক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার জানান, তিনি ৩-৪দিন আগে বিষয়টি জেনেছেন। মাহে আলমের সালিশ করার বিষয়টি বেআইনি, ধর্ষণের ঘটনা সালিশযোগ্য অপরাধ নয়। এ ব্যাপারে তিনি আজ বিকালে ওসি শাহেদ উদ্দিনের সঙ্গেও কথা বলেছেন বলে জানান।
চরজব্বার থানার ওসি মো শাহেদ উদ্দিন কিশোরীর মায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন কেউ তার কাছে ধর্ষণ ঘটনার অভিযোগ নিয়ে আসেনি। তিনি আজ ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন।
Comments