সুইস গোলরক্ষকের ভুলে শীর্ষেই স্পেন

৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে ২০১০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন স্পেন।
spain football team
ছবি: রয়টার্স

ম্যাচের তখন চতুর্দশ মিনিট। বল ক্লিয়ার না করে ডি-বক্সে নিজেদের মধ্যে দেওয়া-নেওয়া করছিলেন সফরকারী সুইজারল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। কিন্তু এমনটা করতে গিয়ে মহাবিপদ ডেকে আনেন ইয়ান সোমার।

সুইজারল্যান্ডের এই গোলরক্ষকের পাসের নাগাল পাননি সতীর্থ গ্রানিত জাকা। উল্টো বল পেয়ে যান স্পেনের মিকেল মেরিনো। তিনি খুঁজে নেন ডি-বক্সের ভেতরে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা মিকেল ওইয়ারজাবালকে। বাকি কাজটা অনায়াসে সারেন তিনি।

ওই গোলই গড়ে দিয়েছে খেলার ভাগ্য। উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচটিতে খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই। বল দখলে এগিয়ে থাকা স্প্যানিশরা ১২টি শট নিলেও মাত্র দুটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, স্বাগতিকদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাওয়া সুইসরা শটই নেয় মোটে চারটি। লক্ষ্যে ছিল একটি।

শনিবার রাতে ‘এ’ লিগের চার নম্বর গ্রুপে নিজেদের মাঠ আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে ১-০ গোলে জিতেছে লুইস এনরিকের দল।

ধারার বিপরীতে ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগটি অবশ্য পেয়েছিল সুইজারল্যান্ড। দ্বাদশ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ডান প্রান্ত দিয়ে সিলভান উইদমারের ক্রসে ডি-বক্সের ভেতর থেকে জোরালো শট নেন লরিস বেনিতো। অসাধারণ এক সেভ করে স্পেনের জাল অক্ষত রাখেন দাভিদ দে গেয়া।

এরপর সুইসদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিপরীতে, স্বাগতিকরাও পারেনি ব্যবধান বাড়াতে। ২৯তম মিনিটে ফেরান তোরেসের হেড ফিরিয়ে দেন সোমার। ৫৩তম মিনিটে বিশাল এক মিস করেন ওইয়ারজাবাল। ফাঁকা জালে বল পাঠাতে ব্যর্থ হন তিনি।

গ্রুপের অন্য ম্যাচে ইউক্রেনের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। নেশন্স লিগে সপ্তম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে ইওয়াকিম লুভের দল।

৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে ২০১০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে জার্মানি। তিনে থাকা ইউক্রেনের অর্জন ৩ পয়েন্ট। মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের তলানিতে রয়েছে সুইজারল্যান্ড।

চতুর্থ রাউন্ডে আগামী মঙ্গলবার ঘরের মাঠে সুইসদের মোকাবিলা করবে জার্মানি। একই দিনে স্পেনকে আতিথ্য দেবে ইউক্রেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago