প্রেসিডেন্ট’স কাপ দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট ফিরল দেশে
আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হচ্ছে ‘প্রস্তুতিমূলক টুর্নামেন্ট’। কিন্তু ১১ ক্যাটাগরির প্রাইজমানিসহ প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ আনতে অনেক আয়োজনই রাখল বিসিবি। মাহমুদউল্লাহ একাদশের সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশের ম্যাচ শুরুর আগে হয়ে গেল ছোট্ট এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও।
রোববার দুপুরে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন উদ্বোধন করেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপ। খেলা শুরুর আগে করোনার কারণে মারা যাওয়া ক্রিকেট ব্যক্তিত্বদের স্মরণে পালন করা হয়েছে এক মিনিটে নীরবতা।
প্রথম ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছে শান্ত একাদশ। প্রস্তুতিমূলক আসর হওয়ায় প্লেয়িং কন্ডিশনেও আছে ভিন্নতা। প্রতি দল এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ১২ জনকে খেলাতে পারবে। তবে ব্যাটিং বা ফিল্ডিং করতে পারবে ১১ জনই।
প্রতি ম্যাচে জয়ী দল পাবে দুই পয়েন্ট। ম্যাচ ভেস্তে গেলে পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে। কোনো ম্যাচ টাই হলে করা হবে সুপার ওভার। সুপার ওভারও টাই হলে হবে আরেকটি সুপার ওভার। দ্বিতীয় সুপার ওভার টাই হলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করবে দুদল।
টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া তিন দল একে অন্যের বিপক্ষে দুবার করে খেলবে। সেরা দুই দল ২৩ অক্টোবর খেলবে ফাইনালে। যদি পয়েন্ট সমান হয়ে যায়, তাহলে বেশি ম্যাচ জেতা দল ফাইনালে যাওয়ার জন্য এগিয়ে থাকবে। তাও যদি সমান হয়, তবে ফাইনালের জন্য বিবেচনায় আসবে নেট রান রেট। বৃষ্টির কারণে প্রতি ম্যাচের জন্যই রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে। ফাইনাল রিজার্ভ ডেও ভেস্তে গেলে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে। সেক্ষেত্রে প্রাইজমানি ভাগাভাগি হয়ে যাবে।
টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য ট্রফির সঙ্গে থাকছে ১৫ লাখ টাকা। রানার্সআপ দল পাবে সাড়ে ৭ লাখ টাকা। ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার ২ লাখ টাকা। আসরের সেরা ব্যাটসম্যান, সেরা ফিল্ডার ও সেরা বোলার প্রত্যেকের জন্য থাকছে ১ লাখ টাকা করে। ফাইনালের ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ও পাবেন ১ লাখ টাকা।
প্রতি ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের জন্য বরাদ্দ আছে ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া, প্রতি ম্যাচে সেরা ব্যাটসম্যান, সেরা বোলার ও সেরা ফিল্ডারের আলাদা ক্যাটাগরির পুরস্কারও আছে। তারা প্রত্যেকে পাবেন ২৫ হাজার টাকা করে।
দর্শকশূন্য মাঠে জৈব সুরক্ষিত বলয়ের মধ্যে হওয়া টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ দেখা যাবে বিসিবির ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল।
Comments