গত তিন মাসে ৭৮০০ শিশু অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত: এমজেএফ
চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে দেশের আটটি জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত ৩০ হাজার ৩১৩ শ্রমজীবী শিশুর মধ্যে ৭ হাজার ৮০০ শিশু আরও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত হয়েছে এবং কাজের খোঁজে ৫ হাজার ৬০০ শিশু তাদের নিজ এলাকা পরিবর্তন করেছে।
এ ছাড়া, ২ হাজার ৪০০ শিশু কম মজুরিতে নতুন কাজে যোগদান করতে বাধ্য হয়েছে।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) এর ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম কর্মসূচির আওতায় কর্মরত ১১টি সহযোগী সংস্থার এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
জাতীয় শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে এমজেএফ ‘কোভিড-১৯: কর্মজীবী শিশুর বর্তমান পরিস্থিতি ও সুরক্ষা’ শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টি সেক্টরাল প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্মসচিব ড. আবুল হোসেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এমজেএফ’র নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম ও মাঠ জরিপের তথ্য উপস্থাপন করেন এমজেএফ’র কর্মসূচি সমন্বয়কারী রাফেজা শাহীন।
এমজেএফ’র বোর্ড মেম্বার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা সরকারি শিশু সদনে শিশু সুরক্ষার সার্বিক বিষয়টি পর্যালোচনা করার অনুরোধ জানান।
ড. আবুল হোসেন সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগসমূহের মধ্যে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শাহীন আনাম পৃথক শিশু অধিদপ্তর স্থাপনের দাবিটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান ও যৌন নির্যাতনসহ সব ধরনের শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
উপস্থিত অন্য বক্তারা সার্বিক শিশু অধিকার ও শিশু সু-রক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য সরকার পক্ষকে আহ্বান জানান।
এসময় বরিশাল কলকারখানা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিচালক মো. আরফিুজ্জামান, কুমিল্লা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক সেলিনা আক্তার, খুলনা সমাজ সেবা অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আইনুল হক, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা, এমজেএফ’র শিশুশ্রম বিষয়ক কার্যক্রমের উপদেষ্টা ড. রতন সরকার এবং কলকারখানা প্রতিষ্ঠানের সহকারী মহাপরিদর্শক ডা. লুৎফুন নাহার উপস্থিত ছিলেন।
Comments