৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশিদের প্রবেশের অনুমতি দেবে না ইতালি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রবাসী বাংলাদেশিদের 'আগের আচরণ' ও কোভিড-১৯ এর সেকেন্ড ওয়েভের শঙ্কায় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের ইতালি প্রবেশের অনুমতি দেবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
ইতালিতে প্রবেশের অনুমতি না পাওয়ায় গত ১০ জুলাই কাতার এয়ারওয়েজের যাত্রীরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বেরিয়ে আসেন। ফাইল ফটো স্টার

প্রবাসী বাংলাদেশিদের 'আগের আচরণ' ও কোভিড-১৯ এর সেকেন্ড ওয়েভের শঙ্কায় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের ইতালি প্রবেশের অনুমতি দেবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইতালি প্রবাসী কর্মীদের সে দেশে ফেরার বিষয়ে তিনি বলেন, 'কোনও ভালো খবর নেই।'

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি এই ইস্যুতে ইতালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, তাতে কোন ফল আসেনি।

তার মতে বাংলাদেশি প্রবাসীরা এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। কারণ তারা ইতালি সরকারের কোয়ারেন্টিন নিয়ম লঙ্ঘন করেছিল।

তিনি বলেন, 'আমাদের প্রবাসীরাই সমস্যা। আপনারা জানেন যে তারা ইতালির আইন মেনে চলেননি।'

মন্ত্রী বলেন, '৪৮ জন বাংলাদেশি ইতালি যাওয়ার পর, তাদের করোনা আক্রান্ত সন্দেহ করে ইতালি কর্তৃপক্ষ তাদের একটি হোটেলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেছিল। কিন্তু, তাদের অনেকেই কোয়ারেন্টিন করেননি।'

পরে, বিষয়টি সে দেশের গণমাধ্যমে আসে বলে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

'তারা জানিয়েছে যে তারা বাংলাদেশ থেকে কোনও ফ্লাইট নামতে দেবে না। দুটি ফ্লাইটে ইতালি যাওয়া অনেক বাংলাদেশি যাত্রীকে তারা পাঠিয়ে দিয়েছে,' মোমেন বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, ইতালির সরকার রোমে অবস্থানকারী ৩০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশিকে বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে বলেছিল। কিন্তু, অনেক বাংলাদেশি পরীক্ষা এড়াতে শহর ছেড়ে পালিয়েছেন, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

মোমেন বলেন, 'দেশটিতে সব কিছু স্বাভাবিক হওয়ায়, এখন অনেক লোক ইতালিতে প্রবেশ করছে। তবে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের পূর্ববর্তী আচরণ ও কোভিড-১৯ এর সেকেন্ড ওয়েভের আশঙ্কায় তারা শঙ্কায় আছে।'

ইতালিগামী বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীদের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা ঢাকায় ইতালিয়ান মিশনের সামনে প্রতিবাদ জানালে ভালো হয়।

'যদি তারা ইতালিয়ান মিশনের সামনে প্রতিবাদ জানায়, তবে বাংলাদেশিরা ইতালিতে ফিরে যেতে চাচ্ছে এমন তথ্য তারা তাদের দেশে জানাতে পারবে,' যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, অনুরোধ ছাড়া আমরা কী পারি, জোর করে তো আর ইতালি পাঠিয়ে দিতে পারি না।

এদিকে, ইতালিগামী প্রবাসী শ্রমিকদের একটি প্ল্যাটফর্ম 'ইতালি হেল্প সেন্টার' আজ জানিয়েছে, দেশে আটকে থাকা বাংলাদেশি কর্মীদের ইতালিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে কর্মীদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলাদেশে ইতালির রাষ্ট্রদূত ১৯ অক্টোবর কথা বলতে রাজি হয়েছেন।

ইতালি ফেরত বাংলাদেশি হৃদয় আহমেদ জানিয়েছেন, ইতালিতে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে কমপক্ষে ১৫ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে আটকা আছেন। 

তিনি বলেন, ইতালিয়ান রাষ্ট্রদূত যদি তাদের ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ না নেন, তবে আগামী ২০ অক্টোবর থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে তারা বিক্ষোভ করবেন।

Comments

The Daily Star  | English
expediency

Expediency triumphs over principle in electoral politics

It appears that all of the ruling party’s efforts revolve around the next election, not considering longer-term ramifications for the itself.

6h ago