ঝিনাইদহে ভেঙে গেছে সেতু, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

ঝিনাইদহ-নারিকেলবাড়িয়া সড়কের কালীচরনপুর ইউনিয়নের হাটবাকুয়া গ্রামের সেতুটি ভেঙে গেছে প্রায় এক বছর আগে। ফলে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই। আর এতে দিনকে দিন স্থানীয়দের দুর্ভোগ বাড়ছে।
সেতু ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে স্থানীয়রা। ছবি: স্টার

ঝিনাইদহ-নারিকেলবাড়িয়া সড়কের কালীচরনপুর ইউনিয়নের হাটবাকুয়া গ্রামের সেতুটি ভেঙে গেছে প্রায় এক বছর আগে। ফলে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই। আর এতে দিনকে দিন স্থানীয়দের দুর্ভোগ বাড়ছে।

সম্প্রতি ঘটনাস্থলে গিয়ে সেতুটির বেহাল দশা দেখা যায়। স্থানয়ীরা জানান, প্রায় এক বছর আগে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে কারণে বিভিন্ন সময়ে অপ্রত‍্যাসিত দুর্ঘটনা ঘটে।

কালীচরনপুর, ফুরসনদি, দোগাছী ও ঘোড়শাল— এই চার ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। তা ছাড়া, প্রায় দেড় হাজার ছোট-বড় গাড়িও চলে।

কালীচরনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস‍্য পিন্টু শিকদর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প‍্রায়ই সেতুটির কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। চার ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ লোক ও দেড়হাজার যানবাহন চলাচল করে এই সেতুটি দিয়ে। সেতুটি যত দ্রুত সম্ভব মেরামত করা প্রয়োজন।’

‘তা ছাড়া, বালিয়াডাঙা বাজারে একটি মাধ‍্যমিক বিদ‍্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক ও পুলিশ ক‍্যাম্প আছে। ফায়ার ইউনিটের গাড়িও তড়িঘড়ি করে সেতুটি দিয়ে যেতে পারে না। সুতরাং জরুরি ভিত্তিতে এটি মেরামত দরকার’, বলেন ইউপি সদস্য।

ইজিবাইকচালক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এই ভাঙা সেতু খুবই বিপজ্জনক। প্রায়ই এখানে দুর্ঘটনা ঘটে।’

ট্রাকচালক আবেদ আলী বলেন, ‘এই সড়কটি এমনিতেই সরু। এরপর সেতুটির এই অবস্থা। সবমিলিয়ে এখান দিয়ে চলাচল খুবই বিপজ্জনক।’

কালীচরনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমি সদর উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করব। যাতে সেতুটি তাড়াতাড়ি মেরামত হয়।’

সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সেতুটি মেরামতের জন্য আমি ইতোমধ্যে এস্টিমেট তৈরি করে জমা দিয়েছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Nothing wrong if people think new political party needed: Tarique

Only free, fair polls can ensure direct partnership between people and state, says BNP acting chairman

48m ago