‘নতুন নেইমার’ নন, ‘রদ্রিগো’ই হতে চান তিনি
তার বয়স যখন মাত্র ১২ বছর, তখন থেকেই নেইমারের সঙ্গে তাকে তুলনা করা হয়ে আসছে। ‘নতুন রবিনহো’ ডাকটাও কম শোনেননি। কিন্তু পূর্বসূরিদের ছায়ার নিচে আটকে থাকাটা উপভোগ করেন না রদ্রিগো। আপন আলোয় উদ্ভাসিত হতে চান রিয়াল মাদ্রিদের এই তরুণ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
স্বদেশি ক্লাব সান্তোসে ক্লাব ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছিল রদ্রিগোর। সেখানে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে দেরি করেননি। আর যায় কোথায়! শুরু হয়ে যায় তুলনা। তৈরি হয় প্রত্যাশার চাপ। কারণ, সান্তোসের জার্সিতেই ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পথচলা শুরু হয়েছিল নেইমার আর রবিনহোর। সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড নেইমার এখন খেলছেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে (পিএসজি)। অনেক ঘাটের জল খেয়ে রবিনহো সম্প্রতি আবার ফিরেছেন সান্তোসে।
রদ্রিগোর রিয়ালের নজরে পড়তেও সময় লাগেনি। তাকে এতটাই মনে ধরে লস ব্লাঙ্কোসদের যে, ২০১৮ সালের তার জন্য ৪৫ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে বসে স্প্যানিশ ক্লাবটি। এমন কিছু ঘটার ইঙ্গিত অবশ্য পাওয়া গিয়েছিল আরও আগেই। মাত্র ১২ বছর বয়সে ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নাইকির শুভেচ্ছাদূত হয়েছিলেন রদ্রিগো। নাইকির শুভেচ্ছাদূত হওয়া সর্বকনিষ্ঠ ক্রীড়াবিদ তিনিই।
তবে অল্প বয়সে আগের সফল কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে তুলনা মানেই প্রত্যাশার বাড়তি চাপ। সেটা ভালোভাবে জানা ১৯ বছরের রদ্রিগোর। তাই ‘নতুন নেইমার’ কিংবা ‘নতুন রবিনহো’ ডাক নিয়ে আপত্তি রয়েছে তার। তিনি পরিচিতি পেতে চান নিজের নামে।
কাতার বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে আগামীকাল বুধবার পেরুর মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ছয়টায়। তার আগে রদ্রিগো গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ক্যারিয়ারের একেবারে শুরু থেকে, যখন আমি সান্তোসে খেলতাম, তারা আমাকে নতুন নেইমার বলত এবং রবিনহোর সঙ্গে তুলনা করত। আমার ওপর এই চাপটা বরাবরই ছিল।’
‘আমি সবসময়ই বলে এসেছি, আমি রদ্রিগো হতে চাই। নিজের গল্প লিখতে চাই। রবিনহো ও নেইমার সান্তোসের তো বটেই, তারা যেখানে যেখানে খেলেছে, সেখানে অনুকরণীয় নিদর্শন রেখেছে। কিন্তু আমি সবে শুরু করেছি এবং নেইমার নামে কেবল একজনই আছেন।’
রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের জার্সি গায়ে চাপানোর স্বপ্ন ইতোমধ্যে পূরণ হয়েছে রদ্রিগোর। গত বছর অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত খেলেছেন তিন ম্যাচে। কয়েকদিন আগে বলিভিয়ার বিপক্ষে বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন তিনি।
সেলেসাওদের একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকায় পারফরম্যান্সে আরও ধারাবাহিক হতে চান রদ্রিগো, ‘আমাকে মান ধরে রাখতে হবে। কারণ, আমরা সবাই জানি, আমার পজিশনে ব্রাজিল দলে দারুণ কয়েকজন খেলোয়াড় আছে।’
‘যখন আমার সুযোগ আসবে, তখনই ভালো খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। তিতে (কোচ) আমাকে অনুশীলনে ডেকে যা যা করতে বলবেন, তা-ই করতে হবে। জাতীয় দলে নিয়মিত ডাক পেতে নিজের কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরি।’
Comments