মেসি টাকা তৈরির মেশিন: লা লিগা সভাপতি

ছবি: এএফপি

বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি। এ তারকা মাঠে থাকা মানেই ভক্ত-সমর্থকদের আগ্রহ থাকে বেশি। যে কারণে আগ্রহ বেশ থাকে পৃষ্ঠপোষকদেরও। তার ফায়দা লুটছেন সংশ্লিষ্ট লিগ কর্তৃপক্ষ। আর সেটা কোনো রাখঢাক না রেখেই স্বীকার করলেন লি লিগা সভাপতি হ্যাভিয়ার তেবাস। মেসিকে টাকা তৈরির মেশিন বলেছেন তিনি।

মৌসুমের শুরুতে বার্সেলোনা ছাড়তে চাইলে ৭০০ মিলিয়ন ইউরো রিলিজ ক্লজের জালে আটকে রাখা হয় মেসিকে। সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন বার্সা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ। তাকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিলেন লা লিগা সভাপতি হ্যাভিয়ার তেবাস। তাদেরও এক কথা বার্সা ছাড়তে হলে রিলিজ ক্লজের পুরো অর্থ দিয়েই ছাড়তে হবে। কারণ টাকা তৈরির মেশিনকে কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে রাজী নন তারা।

শেষ পর্যন্ত বার্সা ছাড়তে পারেননি মেসি। কাতালান ক্লাবটির জন্য নিঃসন্দেহে দারুণ একটি সংবাদ। তেমনি লা লিগার জন্যও। তা স্বীকার করে সম্প্রতি স্পোর্টসভিত্তিক ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম লা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্তকে এক সাক্ষাৎকারে তেবাস বলেছেন, 'আমি মেসিকে স্পেনে খেলতে দেখতে চাই। সে টাকা তৈরির মেশিন।'

মেসিকে দলে পাওয়ার জন্য বেশ কিছু ক্লাবই মুখিয়ে রয়েছে। লিগ কর্তৃপক্ষও সমর্থন দিচ্ছেন তাদের। তবে মেসিকে টাকা তৈরির মেশিন মানলেও একজন খেলোয়াড় একটি লিগের মূল্যমান বাড়াতে পারে এমনটা বিশ্বাস করেন না তেবাস। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও নেইমারের উদাহরণ টেনে বলেন, 'আমরা বেশ কয়েক বছর ধরে মেসি এবং ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে ছাড়া এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি যাতে আর্থিক ঘাটতির সম্মুখীন না হই। নেইমার প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে চলে গেছে এবং ফরাসি লিগ আন্তর্জাতিক মানের হয়নি। ক্রিস্তিয়ানো তুরিনে (জুভেন্টাস) যাওয়াতেও সিরি আ উন্নতি করতে পারেনি।'

তাই মেসি চলে গেলেও নিজেদের কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করেন তেবাস, 'যদি মেসি চলে যায় তারপরও সারা বিশ্বে আমাদের সত্ত্ব বিক্রি হবে। ক্রিস্তিয়ানো ও নেইমার চলে যাওয়ার পর আমরা উন্নতি ধরে রেখেছি। এর কারণ আমরা লা লিগার ব্র্যান্ড উন্নতির ধারা ধরে রেখেছি। একজন খেলোয়াড় পুরো লিগ বদলে দিতে পারে না। আমার ধারণা লা লিগার যে ব্র্যান্ড তাতে কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।'

Comments

The Daily Star  | English

US-China tariff war punishes Bangladesh

Bangladesh is one of those nations that face pressure from Washington to decouple their manufacturing industries from Chinese suppliers, according to officials familiar with trade negotiations.

10h ago