ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের অভিযান শুরু
মা ইলিশ রক্ষায় আজ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ২২ দিনের সরকারি অভিযান। এরই অংশ হিসেবে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা বাস্তবে পালিত হচ্ছে কি না, তা দেখতে আজ বুধবার দুপুরে চাঁদপুরে যাবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এসময় তার সঙ্গে নৌপুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার পদ্মা-মেঘনায় প্রথমদিন কোনো জেলে নামেনি। বিষয়টি তদারকি করতে এসব এলাকার নৌপুলিশ তৎপর রয়েছে।
হাইমচর উপজেলার নীল কমল নৌপুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, ‘আমরা ভোর থেকে মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেছি, কোথাও কোনো জেলেকে নদীতে দেখিনি। পুরো নদী ছিল ফাঁকা।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আমার একটি টিম চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার মোহনা হয়ে মতলব মোহনপুর পর্যন্ত ঘুরে দেখেছে। একজন জেলেও নদীতে নেই। পুরো নদী ছিল জেলেশূন্য।’
তবে চাঁদপুরের বেশ কয়েকজন জেলের অভিযোগ, প্রতি বছর মা ইলিশ রক্ষার সময়ে মতলবের একদল জেলে নদীতে দিন-রাত কারেন্টজাল দিয়ে মাছ শিকার করেন। এদের ধরতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, ‘এজন্য আজ আমরা মতলব মোহনপুরের জেলেদের নিয়ে বসব। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীও তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। যাতে তারা এই নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে না নামেন।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী বলেন, ‘এবছর চাঁদপুরের ৫১ হাজার জেলের মধ্যে ৫০ হাজার জেলের জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময়ে ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
Comments