বলিভিয়াকে হারিয়ে ‘খুব খুশি’ আর্জেন্টিনা
বলিভিয়ায় খেলতে যাওয়া মানেই আর্জেন্টিনার জন্য কঠিন পরীক্ষা! কখনও কখনও দুঃসহ অভিজ্ঞতা। গত ১৫ বছর ধরে চলে আসছিল এমনটাই। দেড় দশকের সেই ধারায় অবশেষে ছেদ টানতে পেরেছে আলবিসেলেস্তেরা। পিছিয়ে পড়েও দারুণ জয় তুলে নেওয়ায় আনন্দের বাঁধ ভেঙেছে তাদের, জানিয়েছেন দলটির তারকা ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্তিনেজ।
মঙ্গলবার রাতে কাতার বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে বলিভিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। ২০০৫ সালের পর প্রথমবারের মতো সেখানে শেষ হাসি হেসে মাঠ ছেড়েছে দুইবারের সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার ৬০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত লা পাজের হার্নান্দো সাইলেস স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের এগিয়ে নিয়েছিলেন মার্সেলো মোরেনো। বিরতির ঠিক আগে মার্তিনেজ সফরকারীদের সমতায় ফেরানোর পর দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে ব্যবধান গড়ে দেন বদলি নামা হোয়াকিন কোরেয়া।
লা পাজের অত্যধিক উচ্চতার মাঠে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয় অতিথি দলগুলোর খেলোয়াড়দের। যার প্রভাব অবধারিতভাবে পড়ে পারফরম্যান্সে। এদিনও দ্বিতীয়ার্ধের খেলা চলাকালে আর্জেন্টিনার বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে সাইডলাইনের পাশে দাঁড়িয়ে অক্সিজেন নিতে দেখা গেছে। তবে উচ্চতার ভয়কে জয় করে শেষ পর্যন্ত পূর্ণ পয়েন্ট আদায় করে নিয়েছে লিওনেল স্কালোনির দল।
ম্যাচ শেষে সতীর্থদের কৃতিত্ব দিয়েছেন ইন্টার মিলানের ফরোয়ার্ড মার্তিনেজ, ‘অতীত ইতিহাসের কারণে এই ম্যাচের বিশেষত্ব আমাদের জানা ছিল। এখানে খেলা কঠিন। এটা আমরা অস্বীকার করছি না।... আমি মনে করি, আজ আমাদের দলটা সাহসের পরিচয় দিয়েছে, বুদ্ধির ছাপও রেখেছে। আমরা খুব খুশি।’
উল্লেখ্য, প্রায় চার বছর পর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে মেসি ছাড়া আর্জেন্টিনার অন্য কাউকে গোল করতে দেখল ফুটবল অনুরাগীরা। এর আগে ২০১৬ সালের নভেম্বরে বার্সেলোনা অধিনায়কের পাশাপাশি আনহেল দি মারিয়া ও লুকাস প্রাতো গোল করেছিলেন। কলম্বিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচটা ৩-০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা।
মাঝে বাছাইয়ের সাত ম্যাচে মোটে ৬টি গোল করেছিল আর্জেন্টিনা। তার মধ্যে ইকুয়েডরের সঙ্গে একটি হ্যাটট্রিকসহ ৫টিই করেছিলেন মেসি। অন্য গোলটি ছিল আত্মঘাতী।
Comments