পটুয়াখালীতে কারেন্ট জালসহ ৯০ কেজি ইলিশ জব্দ, ২ জেলের কারাদণ্ড
মা ইলিশ রক্ষায় ২২-দিনের নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিন বুধবার পটুয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলার নদ-নদীতে অভিযান চালিয়ে ২৩ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও ৯০ কেজি ইলিশ মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দুই জেলেকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে একটি বরফ কল মালিকসহ পাঁচ জেলেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। গতকাল মধ্যরাত থেকে বুধবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, প্রথম দিনের অভিযানে মোট ৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। ২৩ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। যার মূল্য ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। জব্দ হওয়া কারেন্ট জাল পুড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উদ্ধার ইলিশ মাছ বিভিন্ন এতিমখানা ও দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। ওই রাতেই মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ড অভিযান শুরু করে। অভিযানে জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রা নদী থেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় দুই জেলেকে আটক করে প্রত্যেককে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও পাঁচ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়।
কলাপাড়া উপজেলার রাবনাবাদ নদসহ সাগর মোহনায় অভিযান চালিয়ে ৬০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিন জেলেকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাউফল উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জব্দ করা হয়। এ ছাড়া, বরফ কল খোলা রাখায় এক মালিককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গলাচিপা উপজেলার আগুনমুখা নদী মোহনা থেকে সাত হাজার মিটার কারেন্টজালসহ ২৫ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে রাঙ্গাবালী উপজেলার এক হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জালসহ পাঁচ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।
দশমিনা উপজেলার তেঁকুলিয়া নদীতে অভিযান চালিয়ে ৩০টি চরগড়া জালসহ দুই জেলেকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত আটক দুই জেলেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
Comments