নরকিয়ার গতির ঝড় দেখল আইপিএল
আনরিক নরকিয়া আইপিএলে প্রায় প্রতি ম্যাচেই ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতির কাছাকাছি বল করছেন। এবার আইপিএলে সবচেয়ে গতিময় বল ছিল তার। বুধবার রাতে রাজস্থান রয়্যালসকে কাবু করতে গতি নিয়ে গেলেন ১৫৬ ছাড়িয়ে। ম্যাচ শেষে জানালেন, এত গতি তুলছেন, সেটা নিজেও টের পাননি।
বুধবার দিল্লি ক্যাপিটালস করেছিল ১৬১ রান। জবাব দিতে নেমে জস বাটলার আর বেন স্টোকস এনে দেন ঝড়ো শুরু। দুজনের আগ্রাসী ব্যাটে সহজ জেতার সম্ভাবনাই বাড়ছিল রাজস্থানের।
কিন্তু নরকিয়ার গতির কাছে থেমেছে বাটলারের তাণ্ডব। তার ৯ বলে ২২ রানের ইনিংস শেষ হয় নরকিয়ার ১৫৫ কিলোমিটার গতির এক ডেলিভারিতে। বাটলার কিছু বুঝে উঠার আগেই স্টাম্প ছত্রখান হয়ে যায়।
তার আগেই অবশ্য নরকিয়া ছাড়িয়ে যান নিজেকে। স্পিড মিটারে গতি তুলেন ১৫৬.২২ কিলোমিটার। মাইলের হিসেবে যা ৯৭ মাইল ছাড়িয়ে যায়। গতিময় ওই বলটি অবশ্য বাউন্ডারি মেরে দিয়েছিলেন বাটলার। এবার আইপিএলে সবচেয়ে গতিময় চারটি ডেলিভারিই এসেছে নরকিয়ার কাছ থেকে।
পরে ১৫০ কিলোমিটার গতির আরেক বলে উপড়ে ফেলেন রবিন উত্থাপার স্টাম্পও। শেষ তিন ওভারে ২৯ রান দরকার ছিল রাজস্থানের। নাগালের মধ্য থাকলেও তা নিতে পারেনি স্টিভেন স্মিথের দল।
ম্যাচ শেষে নরকিয়া জানান, এত গতিতে বল করছেন টের পাননি নিজেও, ‘১৫৬ কিলোমিটার গতিতে বল করেছি, এটা জানতাম না,জেনে খুব ভাল লাগলো। আসলে আজ খুব ফুরফুরে লাগছিল। জিততে পেরে তাই দারুণ লাগছে। শুরুর দিকে জস বাটলার অসাধারণ খেলছিল। ফুল লেংথে বেশি বল করে ফেলেছিলাম। (যাতে কিছু রান বেরিয়ে যায়)/ পরে ভাবলাম নিজের শক্তির জায়গায় সোজা স্টাম্পে রাখি।’
দিল্লিতে বোলিং কোচ হিসেবে থাকা রায়ান হ্যারিসের প্রশংসাও করেন নরকিয়া, শেষ দিকে রাজস্থানের জেতার আশা মিইয়ে দেওয়া দুই বোলিং সঙ্গীর প্রতিও বাহবা তার, ‘রায়ানের মতো ভাল কোচ আমরা পেয়েছি। কেজির (কাগিসো রাবাদা) সঙ্গে কাজ করতে ভাল লাগছে। তুষার (দেশপাণ্ডে) নেটে বেশ ভাল করছিল। দলের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাল।’
Comments