বিচার বিভাগের উন্নয়ন হলে রাষ্ট্রের ৪ মূলনীতি সুপ্রতিষ্ঠিত হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার বিভাগের উন্নয়ন হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুদৃঢ় হওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রের চার মূলনীতি সুপ্রতিষ্ঠিত হবে, রাষ্ট্রের প্রধান তিনটি অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে ও গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অবকাঠামো নির্মাণ করাই বিচার বিভাগের শেষ দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত ন্যায়বিচার জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া না যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আসল সম্মান আমরা পাবো না। তাই জনগণের কাছ থেকে আসল সম্মান পেতে বিচার বিভাগের সবাইকে একনিষ্ঠ হয়ে কাজ করতে হবে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা, যেখানে সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। এই সাংবিধানিক অঙ্গীকারের আলোকে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। কারণ, আইনের শাসনের মধ্যেই আছে আইনের প্রয়োগ ও কার্যকারিতা।’
তিনি বলেন, ‘যে সমাজে আইনের শাসন নেই, সেখানে আইনের মর্যাদা লুণ্ঠিত। আইন মানুষকে যেমন নিয়ন্ত্রণ করে, তেমনই মর্যাদাবান ও পরিশীলিত করে। আইন যেখানে অচল, মানবাধিকার সেখানে ভূলুণ্ঠিত।’
তিনি জানান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সঙ্গে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সাঙ্গে বিচার বিভাগের মানোন্নয়ন জড়িত। সেজন্য মানসম্পন্ন বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করলে, তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও পৃথকীকরণকে সুদৃঢ়, দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই করতে বাস্তবমুখী কিছু উদ্যোগ নেন। ভবিষ্যৎ প্রয়োজন মেটানোর জন্য আদালত ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আজ চার তলা ভবন উদ্বোধনের ফলে বিচারক, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী জনগণের দুর্ভোগ অনেকটাই লাঘব হবে।’
তিনি জানান, এটাকে আট তলা করা হবে এবং আগামী বছরই অবশিষ্ট চার তলার নির্মাণ কাজ শুরু হবে। তখন দুর্ভোগ পুরোপুরি কেটে যাবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘এই আদালত ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্য তখনই সফল হবে, যখন বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব আন্তরিকভাবে পালন করে দ্রুত ন্যায়বিচার প্রদানে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন।’
Comments