‘ইউনিভার্স বস স্নায়ুচাপে ভুগে না’

বয়স পেরিয়েছে ৪১। কিন্তু নিজেকে এখনো টি-টোয়েন্টির রাজা মনে করেন ক্রিস গেইল। নিজেরই দেওয়া ইউনিভার্স বস তকমাটা সুযোগ পেলেই ব্যবহার করতে রাখঢাক নেই তার। এবার আইপিএলে প্রথম ৭ ম্যাচে সুযোগ পাননি। বেঞ্চে বসে হাঁসফাঁস করেছেন। অষ্টম ম্যাচে ওপেনারের ভূমিকার বদলে নামতে হয়েছে তিন নম্বরে। নতুন ভূমিকায় দলের জয়ে অবদান রাখার পর বললেন, ‘ইউনিভার্স বস স্নায়ুচাপে ভুগে না।’
বৃহস্পতিবার শারজাহ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় রয়্যাল চ্যালঞ্জার্স বেঙ্গালুরুরকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। ১৭১ রান টপকাতে গিয়ে মন্থর উইকেটে দলকে জেতাতে ৫ ছক্কায় গেইল করেন ৪৫ বলে ৫৩ রান। লোকেশ রাহুল ৪৯ বলে করেন অপরাজিত ৬১। মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ৪৫ রান।
ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে পাঞ্জাবের দরকার ছিল মাত্র ২ রান। যুজভেন্দ্র চাহালের প্রথম ৩ বল থেকে ১ রান করেন গেইল । চতুর্থ বল রাহুল ডট করার পর পঞ্চম বলে রান আউট হয়ে যান গেইল। ম্যাচ টাইয়ের হাত থেকে বাঁচিয়ে শেষ বলে ছক্কায় খেলা শেষ করেন নিকোলাস পুরান।
এই ম্যাচে গেইলের ভূমিকা ছিল একদমই ভিন্ন। চিরচেনা ওপেনিং পজিশনে জায়গা মেলেনি। তিন নম্বরে নেমে বেসামাল হওয়াও চলত না। শুরুতে তাই দেখেশুনে খেলেছেন, থিতু হতে সময় নিয়েছেন। যেসব ডট বল খেলেছেন তা পুষিয়েছেন বিশাল সব ছক্কায়।
ম্যাচ শেষে তার কাছে প্রশ্ন ছিল, নতুন ভূমিকায় দলে জায়গা ধরে রাখার স্নায়ুচাপে ভুগছেন কীনা, গেইল স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে উড়িয়েছেন এই প্রশ্ন, ‘স্নায়ুচাপ না। আরে এটা ইউনিভার্স বসের ব্যাটিং, কীভাবে আমি স্নায়ুচাপে ভুগব? উইকেটটা খুব সহজ ছিল না। খুবই মন্থর ছিল। কিন্তু পরে ব্যাট করতে অসুবিধা হয়নি। দল আমাকে ৩ নম্বরে পাঠিয়েছে, এটা ব্যাপার না। ওপেনাররা যেহেতু টুর্নামেন্ট জুড়েই ভাল করছে তাই তাদের বিচ্ছিন্ন করতে চাইনি আমরা।’
ফিফটির পর ব্যাটের পেছনে টোকা মেরে উদযাপন করেছেন। জানালেন নতুন ভূমিকাতেও অবদান রাখতে পারার স্বস্তির জন্যই এই ইঙ্গিত তার, ‘যেটা বললাম, আমার একটা ভূমিকা ছিল, সেটা পালন করেছি। আমার ওই নামের প্রতি কিছুটা সুবিচার করা দরকার ছিল (নিজের ব্যাটে ইউনিভার্স বস লেখার দিকে ইঙ্গিত করে)।’
Comments