কবরস্থানে গিয়ে জানা গেল শিশুটি মারা যায়নি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ ভোর পৌনে ৫টায় ইয়াসিন মোল্লা ও শাহীনুর আক্তার নামে এক দম্পতির দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়। তবে স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, তাদের কন্যা সন্তানকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। দাফনের জন্য শিশুটির ‘মরদেহ’ একটি হ্যান্ড গ্লাভসের প্যাকেটে করে ইয়াসিনের হাতে দেওয়া হয়।
তিনি প্রথমে আজিমপুর কবরস্থানে যান। সেখানকার নির্ধারিত ফি’র সমপরিমাণ টাকা না থাকায় ইয়াসিন রায়েরবাজার কবরস্থানে যান। পাঁচ শ টাকা জমা দেওয়ার পরে কবর খোঁড়া হয়। এরপর ইয়াসিনের হাতে থাকা হ্যান্ড গ্লাভসের প্যাকেটটি নড়ে উঠে।
ইয়াসিন মোল্লা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কবরস্থানের কর্মীরা আমাকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে দেন। হাসপাতালে এলে চিকিৎসকরা বাচ্চাকে ২১১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করে। তারা বলেছেন, সাড়ে ছয় মাসে শিশুটির জন্ম হয়েছে। যে কারণে কিছু জটিলতা আছে, আইসিইউতে নিতে হবে। কিন্তু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ফাঁকা নেই। আমি পেশায় গাড়ি চালক। বাইরে চিকিৎসা করানো আমার পক্ষে সম্ভব না, তাই ওয়ার্ডেই আছি।’
ইয়াসিন মোল্লার বাড়ি গোপালগঞ্জে। ঢাকায় তিনি উত্তরা এলাকায় সপরিবারে বসবাস করেন। এটি তাদের দ্বিতীয় সন্তান। তাদের নয় বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে।
এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নিলুফা সুলতানা দ্য ডেইল স্টারকে বলেন, ‘আমি দুই দিনের ছুটিতে আছি। নবজাতকটির বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক আমাকে জানিয়েছেন। আমি আমার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সব কিছু দেখছেন।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘নবজাতকটি জীবিত আছে, ভালো আছে, হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।’
Comments