গাজীপুরে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক
গাজীপুরে মুঠোফেনে ডেকে নিয়ে এক কলেজছাত্রীকে (১৮) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপরদিকে শ্রীপুর উপজেলার টেপিরবাড়ি এলাকায় সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঁইয়া জানান, ওই ছাত্রী ও নাঈম নামের এক যুবক গাজীপুর শহরের একটি কলেজে পড়েন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই ছাত্রীর মুঠোফোনে কল দিয়ে জরুরি কথা আছে বলে শিমুলতলী বটতলা এলাকায় দেখা করতে বলেন নাঈম। ফোন পেয়ে ছাত্রী অটোরিকশাযোগে শিমুলতলী বটতলায় যান। সেখানে আগে থেকেই নাঈম ও তার দুই সহযোগী আনন্দ এবং মাসুদ রানা উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রী ওই স্থানে পৌঁছার কিছুক্ষণ পর আনন্দ ও মাসুদ রানা সেখান থেকে চলে যান। তারা দুজন চলে যাওয়ার পর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নাঈম ছাত্রীকে একটি অটোরিকশায় করে শিমুলতলী স্কুল গেট সংলগ্ন একটি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর ছাত্রীর বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে তিনি কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় নাঈম ও তার দুই সহযোগী আনন্দ এবং মাসুদ রানা ছাত্রীকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ছাত্রী বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই নাঈমকে প্রধান এবং তার দুই সহযোগী আনন্দ ও মাসুদকে আসামি করে গাজীপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ইতোমধ্যে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের জৈনা বাজার এলাকার আবুল কালামের ছেলে মাসুদ রানা (২৫) এবং ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার গলগন্ডা গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে আনন্দকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে নাঈম এখনো পলাতক। নাঈমকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অপরদিকে, গাজীপুরের শ্রীপুরে সৎ মেয়েকে (৯) ধর্ষণের অভিযোগে বাবা তরিকুল ইসলামকে (৪০) আটক করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
অভিযুক্ত ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি এলাকার শামসুদ্দিন মুন্সির বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
ভুক্তভোগী শিশুর মা জানান, তিনি খাবার হোটেলে রান্নার কাজ করেন। প্রতিদিন সকালে মেয়েকে ঘরে রেখে কাজে চলে যান। এ সুযোগে দুই মাস আগে মেয়েকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন তরিকুল। কয়েকদিন আগে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে সবকিছু খুলে বলে।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন মিয়া জানান, দুই স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও কয়েক বছর আগে আরেকটি বিয়ে করেন তরিকুল। তিনি তেলিহাটির টেপিরবাড়ি এলাকার শামসুদ্দিন মুন্সির বাড়িতে ভাড়া থেকে ট্রেন ও বাসে হকারি করে পণ্য বিক্রি করেন। তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আফছার উদ্দিনের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে অভিযুক্ত তরিকুলকে আটক করা হয়েছে। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
Comments