লালমনিরহাটে মাটি খুঁড়ে যুদ্ধবিমানের অংশ উদ্ধার

যুদ্ধবিমানের উদ্ধারকৃত অংশ। ছবি: স্টার

লালমনিরহাটে মাটি খুঁড়ে যুদ্ধবিমানের অংশবিশেষ উদ্ধার হয়েছে। আরও কিছু অংশ উদ্ধার করতে সেখানে খনন শুরু করেছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ও হারাটি ইউনিয়নে অব্যবহৃত বিমানঘাঁটি থেকে এক কিলোকিমটার দূরত্বে উদ্ধার হওয়া যুদ্ধবিমানের অংশবিশেষ দেখার জন্য আজ শনিবার সকাল থেকে বেড়েছে উৎসুক জনতার ভিড়। আর ভিড় সামলাতে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।

জমির মালিক কৃষক রেজাউল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের বুধার বাঁশেরতল এলাকায় গতকাল বিকেলে তিনি তার জমি খনন করতে গিয়ে দেখতে পান তামা ও স্টিলের কিছু অংশ। পরে বের হয়ে আসে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানের অংশবিশেষ। খবর ছড়িয়ে পড়লে বেড়ে যায় ভিড়। তিনি তাৎক্ষণিক স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও বিমান বাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করেন।

বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানের বাকি অংশগুলো উদ্ধার করতে খনন কাজ শুরু করেছে বিমান বাহিনী। বর্তমানে পুরো এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বিমান বাহিনীর সদস্যরা।

ঘটনাস্থলে খননকাজ চলছে। ছবি: স্টার

ঘটনাস্থলটি লালমনিরহাটের অব্যবহৃত বিমানঘাঁটি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে। লালমনিরহাটে এগার শ একর জমির ওপর তৎকালীন বৃটিশরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গড়ে তুলেছিলেন যুদ্ধঘাঁটি। এখান থেকে চলাচল করত যুদ্ধে ব্যবহৃত বিমান। ধারণা করা হচ্ছে, সেই সময়ে কোনো একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে এই এলাকায় পতিত হয়েছিল।

লালমনিরহাট বিমানঘাঁটিতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, তাদের খননকাজ চলমান রয়েছে। তারা ধারণা করছেন, খননকাজ চলাকালীন ঘটনাস্থল থেকে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানটির অংশসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন হবে। আপাতত ওই এলাকাটি বিমান বাহিনীর লোকজন তাদের নিয়ন্ত্রণে রেখে কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গতকাল রাত থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিমান বাহিনীর সদস্যরা খননকাজ করছেন। বিধ্বম্ত যুদ্ধবিমানের অংশবিশেষ উদ্ধার করে বিমান বাহিনী তাদের হেফাজতে নিয়েছেন।’

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago