করোনা ভ্যাকসিন: ৩০ কোটি মানুষের তালিকা চূড়ান্ত করছে ভারত
রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, প্রবীণ ব্যক্তিসহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রায় ৩০ কোটি মানুষের তালিকা চূড়ান্ত করছে ভারত। তাদের জন্য ভ্যাকসিনের ৬০ কোটি ডোজ সংগ্রহ করবে দেশটি।
আজ শনিবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্য ডেইলি স্টার নয়াদিল্লী সংবাদদাতা জানান, এই তালিকা এ মাসের শেষ দিকে বা নভেম্বরের শুরুতে চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিক পর্যায়ে বুস্টার ডোজসহ দুই ধাপে ভ্যাকসিন দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। অগ্রাধিকার তালিকায় চারটি শ্রেণি করা হয়েছে-প্রায় ৭০ লাখ স্বাস্থ্য সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী; পুলিশ, পৌর কর্মী ও সামরিক বাহিনীসহ প্রায় দুই কোটিরও বেশি ফ্রন্টলাইন কর্মী, ৫০ বছরের বেশি বয়সী প্রায় ২৬ কোটি মানুষ এবং ৫০ বছরের কম বয়সী রোগী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে জানিয়েছিল, ভারতে এখন তিনটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ফল নভেম্বরের শেষ দিকে বা ডিসেম্বরের শুরুতে পাওয়া যাবে।
ভ্যাকসিন বিতরণ পরিকল্পনার খসড়া অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সংস্থা ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের কার্যক্রম এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য বরাদ্দ নিয়ে বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে।
এই পরিকল্পনার লক্ষ্য ছিল, প্রথম পর্যায়ে ভারতের ১৩৩ কোটি জনসংখ্যার ২৩ শতাংশকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা। গত সপ্তাহের শুরুতে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের নেতৃত্বে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের মধ্যে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত একটি বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
খসড়া পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞ কমিটি সরকারি ও বেসরকারি খাতের ১১ লাখ এমবিবিএস চিকিৎসক, ১৫ লাখ নার্সসহ স্বাস্থ্য সেবা সংশ্লিষ্ট ৭০ লাখ কর্মীদের কথা বিবেচনা করছে। তালিকায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী, অ্যাম্বুলেন্স কর্মী ও হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীসহ ৭-৮ লাখ সহসেবার পেশাজীবীরা রয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আজকের তথ্যে বলা হয়েছে, ভারতের এ পর্যন্ত ৭৪ লাখ লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬৫ লাখ লোক সুস্থ হয়েছেন। অর্থাৎ, সুস্থতার হার এখন ৮৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর, এ পর্যন্ত মারা গেছেন এক লাখ ১২ হাজার ৯৯৮ জন। বর্তমানে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সাত লাখ ৯৫ হাজার ৮৭ জন।
Comments