ভিলিয়ার্সের বিপক্ষে বল করতে চান না তারা

১৯তম ওভারে এবিডি ভিলিয়ার্সকে বল করার দায়িত্ব এলে কি করবে? যুজভেন্দ্র চেহেল এমন প্রশ্ন রেখেছিলেন সতীর্থ ক্রিস মরিসের কাছে। দক্ষিণ আফ্রিকান মরিস জানালেন, তিনি সেই ঝুঁকি তিনি একেবারেই রাজী না। এবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ভিলিয়ার্সের সঙ্গে এক দলে খেলায় সেই অগ্নিপরীক্ষায় যে তাদের পড়তে হচ্ছে না, সেজন্য নাকি ভীষণ স্বস্তি তাদের।
শনিবার রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে শেষ দুই ওভারে ৩৫ রানের সমীকরণ ভিলিয়ার্স মিলিয়েছেন অনায়াসে। ৬ ছক্কায় করেছেন ২২ বলে ৫৫ রান। ৯ ম্যাচে ২৮৫ রান করেছেন ১৯০ স্ট্রাইকরেটে। বেঙ্গালুরুর ৬ জয়ের অন্তত চারটিতেই তার বড় অবদান।
এবার বেঙ্গালুরুর হয়ে দারুণ ইকোনমিতে বল করছেন মরিস। চেহেল বরাবরের মতই বেশ কার্যকর লেগ স্পিনে রাখছেন অবদান। এই ম্যাচেই ৪ ওভার বল করে ২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন মরিস। চেহেল ৩৪ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। এত ভাল করেও ম্যাচে শেষের আলোচনায় তারা জানান, তাদের স্কিল দিয়েও ভিলিয়ার্সকে ঠেকানো কত কঠিন।
মাইক্রোফোন হাতে চেহেলই শুরু করেন, ‘কি দারুণ ম্যাচ! যাক বাবা কপাল ভালো যে সে (ভিলিয়ার্স) আমাদের দলে।’
এবার মরিসের দিকে আসল প্রশ্ন, ‘১৯তম ওভারে যদি তোমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিকে বল করতে, কি পরিকল্পনা থাকবে তোমার?’
উত্তরে প্রোটিয়া পেসারের কণ্ঠে বেরিয়ে এলো ভিলিয়ার্সের প্রভাব, ‘আমি পেশিতে টান পড়ার ভান করে সরে দাঁড়াব (হাসি)। আসলে সে যেভাবে ব্যাট চালায় কোন পরিকল্পনা করে আসলে লাভ নেই। আমি বল করতে চাইব না।’
‘আমি পেশাদার ক্যারিয়ারে কখনো তাকে আউট করতে পারিনি।’
এক দেশের খেলোয়াড় হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকায় অনেকবার ভিলিয়ার্সের মুখোমুখি হয়েছেন মরিস। চেহেলের জানতে চাওয়া ছিল সে অভিজ্ঞতা থেকেও কি থাকে আটকানোর পথ নেই, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় তো অনেক খেলেছ। কোন পরিকল্পনা কি কখনো করেছিল তাকে থামানোর।’
‘আরে না। কোন পরিকল্পনাই করতে পারিনি তাকে নিয়ে। দলের মিটিংয়ে কি ঠিক হবে? তাকে কোথায় বল করব? কিন্তু তার বিপক্ষে আগাম অমন পরিকল্পনা কাজে দেয় না।’
চেহেলও পরে একমত। অগ্নিমূর্তি ধারণ করা ভিলিয়ার্সের সামনে প্রতিপক্ষ হিসেবে তিনিও দাঁড়াতে চান না, ‘আমিও এমন অবস্থায় তার বিপক্ষে বল করতে চাই না।’
Comments