'ভিএআর ছিল কি-না' জানেন না বার্সা কোচ

দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটেই বড় ধাক্কাটা খায় বার্সেলোনা। ডি-বক্সের মধ্যে দিয়েনে দাকোনামকে ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ং ফাউল করলে পেনাল্টি পেয়ে যায় গেতাফে। আর তার সদ্ব্যবহার করে এগিয়ে যায় দলটি। শেষপর্যন্ত ম্যাচের ফলাফলও নির্ধারিত ওই পেনাল্টিই। তবে সে পেনাল্টি আপত্তি তোলে বার্সা খেলোয়াড়রা। কিন্তু ভিএআরে যাচাই করার প্রয়োজন বোধ করেননি রেফারি।
ছবি: রয়টার্স

দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটেই বড় ধাক্কাটা খায় বার্সেলোনা। ডি-বক্সের মধ্যে দিয়েনে দাকোনামকে ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ং ফাউল করলে পেনাল্টি পেয়ে যায় গেতাফে। আর তার সদ্ব্যবহার করে এগিয়ে যায় দলটি। শেষপর্যন্ত ম্যাচের ফলাফলও নির্ধারিত ওই পেনাল্টিই। তবে সে পেনাল্টি আপত্তি তোলে বার্সা খেলোয়াড়রা। কিন্তু ভিএআরে যাচাই করার প্রয়োজন বোধ করেননি রেফারি।

শুধু এ পেনাল্টিই নয়, ম্যাচ জুড়ে আগের দিন অনেক ফাউল করে খেলে গেতাফে। মোট ৩০ ফাউলের ২০টিই করে তারা। কিন্তু সে অর্থে প্রতিপক্ষ দলে হলুদ কার্ড পেয়েছেন মাত্র ৩ জন। উল্টো এ কারণে রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে বার্সার দুই খেলোয়াড় দেখেছেন হলুদ কার্ড। তাতেই পরোক্ষভাবে কিছুটা ক্ষোভ উগলে দিয়েছেন বার্সা কোচ।

সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে কোমান বলেন, 'আমি ঠিক জানি না এটা পেনাল্টি ছিল কি-না। এটা দেখে মনে হয়েছে তারা এটার আশাতেই ছিল এবং আমরা ফাঁদে পা দিয়েছি। আমি এটাও জানি না আজকের ম্যাচে ভিএআর ছিল কি-না। আমি রেফারি নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি না, তবে যদি আপনারা ম্যাচের দিকে তাকান দেখবেন তারা কতো ফাউল করেছে। কিন্তু কয়টা কার্ড তাদের দেখানো হয়েছে। এখান থেকেই আপনি আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন।'

প্রথমার্ধের শেষ দিকে বার্সা অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে কনুই দিয়ে মুখে আঘাত করেন এরিক কাবাকো। কিন্তু ফ্রি কিক দিলেও কোনো কার্ড দেখাননি রেফারি। আগেই একবার হলুদ কার্ড দেখেছেন কাবাকো। সেক্ষেত্রে মাঠ থেকে বহিষ্কার হতে পারতেন এ গেতাফে ডিফেন্ডার। যার প্রতিবাদ করেন বার্সা খেলোয়াড়রা। এবং অতিরিক্ত আবেদন করায় উল্টো সের্জি রোবার্তোকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।

চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার প্রথম হার। স্বাভাবিকভাবেই দলটির কোচ হিসেবে প্রথম হার কোমানেরও। কিন্তু ম্যাচে আগের দিন স্বাভাবিক ছন্দে খেলতে পারেনি বার্সেলোনা। পুরো ম্যাচ জুড়েই বল প্রয়োগ করে খেলায় ব্যস্ত ছিল স্বাগতিকরা। হারের অন্যতম কারণ হিসেবে এটাকেও উল্লেখ করেন বার্সা কোচ, 'আমরা জানতাম এটা খুব কঠিন একটা মাঠ। তবে আমরা পাস দিয়ে সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেছি এবং দ্রুত বল চালানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু তারা ফাউল করে খেলা নষ্ট করায় ব্যস্ত ছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago