যশোরে বিএনপি কার্যালয় ও নেতাদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ

Jessore.jpg
দুর্বৃত্তরা কয়েকজন বিএনপি নেতার বাড়িতে ইট-পাটকেল ছুড়ে এবং ভাঙচুর চালায়। ছবি: স্টার

যশোর সদর উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনের দুদিন আগে জেলা বিএনপির কার্যালয়সহ দলের বেশ কয়েকজন নেতার বাড়ি ও অফিসে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

গতরাত ৩টার দিকে এই সিরিজ হামলা শুরু হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান।

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, উপনির্বাচনকে সামনে রেখে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এসব হামলার চালানো হয়েছে। যেমনটি ঘটানো হয়েছিল গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু জানান, গতরাত ২টার দিকে অজ্ঞাত ২০-২৫ জন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল ও গাড়িযোগে তার উপশহর বি-ব্লকের বাড়ির সামনে আসে। সেসময় তারা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং উপর্যুপরি ইটপাটকেল ছুড়ে বাড়ির জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলে। তাদের ছোড়া ইট ঘরের মধ্যেও চলে আসে। এসময় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি।

একই রাতে দলের জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য গোলাম রেজা দুলু, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চুর বাড়ি এবং জেলা বিএনপির কার্যালয়েও হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান অ্যাডভোকেট সাবু।

তিনি বলেন, ‘হামলা চলাকালে কোতোয়ালি থানার ওসিকে দুই দফা ফোন করি। কিন্তু তিনি কল রিসিভ করেননি।’

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন জানান, রাত আড়াইটার দিকে ২০-২৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে দুর্বৃত্তরা বিএনপি কার্যালয়ে আসে। সেসময় কার্যালয়ের ভেতরে নির্বাচনী পোস্টার বাধার কাজ করছিলেন কর্মীরা। দুর্বৃত্তরা দরজায় লাথি মেরে ছিটকিনি ভেঙে ভেতরে ঢুকে কর্মীদের মারধর করে এবং ভাঙচুর চালায়। এরপর নির্বাচনের জন্য রাখা ভোটার তালিকাসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র ও নির্বাচনী মালামাল একটি গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়। যাওয়ার সময় তারা দলীয় কার্যালয়ের দরজায় নতুন একটি তালা ঝুলিয়ে দেয়।

এ ছাড়াও, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মরহুম তরিকুল ইসলাম এবং সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাজী আনিছুর রহমান মুকুলের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান জানান, হামলা ও ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Govt calls for patience as it discusses AL ban with parties

Taken the initiative to introduce necessary amendments to the ICT Act, says govt

1h ago