রৌমারীতে হত্যা মামলার বাদীকে তুলে নিয়ে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ

Roumari.jpg
নির্যাতনের শিকার শেখ ফরিদ। ছবি: স্টার

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে হত্যা মামলার বাদীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে সাদা কাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রৌমারী উপজেলা সদর ইউনিয়নের রৌমারী-ঢাকা মহাসড়কের ঝগড়ারচর নামক এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। রাতভর তাকে নির্যাতন চালিয়ে ভোরবেলা ছেড়ে দেওয়া হলে গুরুতর আহত অবস্থায় রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন তিনি।

নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের ঝগড়ারচর এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে শেখ ফরিদ (২৩)। তিনি তার বাবা রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার বাদী।

রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন শেখ ফরিদ জানান, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি তার বাবার হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) এসআই তুহিন মিয়ার ডাকে রৌমারী থানায় যাচ্ছিলেন। রৌমারী-ঢাকা মহাসড়কের ঝগড়ারচর এলাকায় পৌঁছলে ওৎ পেতে থাকা চিহ্নিত ৫-৬ জন দুর্বৃত্ত তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, ‘আমাকে একটি বাড়িতে আটকে রেখে সারারাত শারীরিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে তারা জোরপূর্বক একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ভোরবেলা আমাকে ছেড়ে দেয়। পরে আহতাবস্থায় আমি রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি হই।’

‘আমি দুর্বৃত্তদের সবাইকে চিনেছি। পুলিশকে তাদের নাম পরিচয় বলেছি’ এমনটি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সুস্থ হয়ে থানায় মামলা করব।’

রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মোক্তারুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘ওই ব্যক্তির হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। তাকে নিয়মিত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

রৌমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তুহিন মিয়া বলেন, ‘ঘটনার দিন শনিবার রাতে আমার সঙ্গে শেখ ফরিদ দেখা করবেন বলে মোবাইল ফোনে জানিয়েছিলেন। পরে ওইদিন আর দেখা হয়নি। পরদিন রোববার সকালে ঘটনা জানার পর হাসপাতালে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেছি। তার কাছ থেকে ঘটনাটি শুনেছি।’

রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম বলেন, ‘কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা আমার জানা নেই। ঘটনার অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Over 45 lakh cases pending in courts

Each HC judge is burdened with 6,552 cases, while Appellate Division judges are handling 4,446 cases each, and lower court judges 1,977 cases each.

1d ago