শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ১৬টি লঞ্চ চলছে
পদ্মানদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ৮২টির মধ্যে ১৬টি লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে কয়েকটি লঞ্চ যাত্রী পারাপার শুরু করে। এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়।
আজ দুপুর পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া লঞ্চঘাটে যাত্রীদের উপস্থিতি বেশি ছিল। তবে, বিকেলের দিকে থেকে যাত্রীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এই নৌরুটে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করে থাকে। তবে, গত পাঁচ দিন ধরে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়াঘাটের নৌ পরিদর্শক মো. সোলেমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ১৬টি লঞ্চ চলাচল করেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপও কমতে শুরু করে। এসব লঞ্চ দিয়ে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক দফা লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল। আজ সকালে মাদারিপুরের কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে তিনটি লঞ্চ মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে আসে। এরপর একটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায়। এরপর থেকেই লঞ্চের সংখ্যা বাড়তে থাকে। যেসব লঞ্চ কম গভীরতার পানিতেও চলাচল করতে পারে, সেগুলোই এখন চলাচল করছে। তবে, চ্যানেলে কোনো লঞ্চ আটকে থাকেনি। জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে লঞ্চগুলো চলাচল করছে। নাব্যতা সংকট নিরসনে কাজ করছে ড্রেজিং বিভাগ।
তিনি আরও জানান, স্বাভাবিক সময়ে শিমুলিয়াঘাট থেকে কাঁঠালবাড়ী পৌঁছাতে সময় লাগে ৪০ মিনিট। এখন ২০-৩০ মিনিট সময় বেশি লাগে। গেল কয়েকদিন ধরে মূল নদী থেকে চ্যানেলের প্রবেশমুখে নাব্যতা সংকট তীব্র। লঞ্চ চলাচলের পথ ১৪ কিলোমিটার। কিন্তু, পর্যাপ্ত গভীরতা নেই প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অংশজুড়ে। এই নৌরুটে ৮২টি লঞ্চ চলাচল করে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবদুর নূর তুষার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত ১৫ অক্টোবর বিকেল থেকে নৌরুটে পুরোপুরিভাবে বন্ধ আছে ফেরি চলাচল। ঘাট এলাকায় পারের অপেক্ষায় কোনো যানবাহন নেই। কবে ফেরি চালু হতে পারে, এই বিষয়ে এখন বলা যাচ্ছে না।
মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা সিরাজুল কবীর দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, যাত্রীরা শুধু স্পিডবোট ও লঞ্চের মাধ্যমে পারাপার হতে পারছেন। তারা যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে, সেই বিষয়ে দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
Comments