পাটকল আন্দোলনে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ

খুলনায় পাটকল আন্দোলনে গ্রেপ্তারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মিছিল করেছে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের নেতা-কর্মীরা।
খুলনায় পাটকল আন্দোলনে গ্রেপ্তারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানায় পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের নেতা-কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

খুলনায় পাটকল আন্দোলনে গ্রেপ্তারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মিছিল করেছে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের নেতা-কর্মীরা।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে খুলনা নগরীতে সিপিবির পার্টি অফিস থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন পথ ঘুরে আবার সেখানে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা।

গতকাল খুলনার আটরা শিল্প এলাকায় পাটকল শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয় এবং ১৩ জনকে আটক করা হয়।

আজ তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে, আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-- বাসদ খুলনার সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত, গণসংহতি আন্দোলনের ফুলতলা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক অলিয়ার রহমান, সিপিবির কেন্দ্রীয় সদস্য ও পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্য সচিব এসএ রশিদ, মহানগর সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, শ্রমিক রবিউল ইসলাম, শেখ রবিউল ইসলাম রবি, শামসের আলম, ছাত্র ফেডারেশনের খুলনা মহানগরের আহ্বায়ক আল আমিন শেখ, শ্রমিক নওশের আলী, ফারুক হোসেন, জাহাঙ্গীর সরদার, শহিদুল ইসলাম ও আবুল হোসেন। মামলার আরেক আসামি যশোরের জেজেআই জুট মিলের সাবেক সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন খান পলাতক আছেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) এর খানজাহান আলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন। মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আজকের মিছিলে নাগরিক পরিষদের সদস্য ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সিপিবি’র নগর সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাওলাদার ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। তা না হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবো আমরা।’

আরও পড়ুন-

খুলনায় পাটকল শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত কমপক্ষে ২০

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut in Ashulia yesterday amid worker unrest along the industrial belts, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

5h ago