শিরোপা ধরে রাখার অভিযান শুরুর আগে বায়ার্নে করোনার আঘাত
গত মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের ‘ট্রেবল’ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন সার্জ গ্যানাব্রি। সবমিলিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তিনি ছিলেন তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা, বাভারিয়ানদের জার্সিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। জার্মান ক্লাবটির ষষ্ঠবারের মতো ইউরোপ সেরা হওয়ার পেছনে তার অবদান কতটা তা এই পরিসংখ্যান থেকে বুঝে নেওয়া যায়। কিন্তু শিরোপা ধরে রাখার অভিযানের শুরুতে এই ফরোয়ার্ডকে পাচ্ছে না বায়ার্ন। কারণ, তিনি আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে।
বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে নিজেদের মাঠে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে বায়ার্ন। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় দুই পরাশক্তির লড়াই শুরু বাংলাদেশ সময় রাত একটায়।
স্প্যানিশ ক্লাবটির বিপক্ষে মাঠে নামতে যাওয়ার প্রায় ২৪ ঘণ্টা আগে গ্যানাব্রির কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা আরও বলেছে, কোনো উপসর্গ নেই এই জার্মান ফরোয়ার্ডের শরীরে, ‘বায়ার্নের আক্রমণভাগের তারকা সুস্থ আছেন এবং নিজ বাড়িতে সেলফ-আইসোলেশনে থাকছেন।’
গত শনিবার জার্মান বুন্ডেসলিগায় আরমিনিয়া বিলেফেল্ডকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেয় বায়ার্ন। সেদিন শুরু থেকে প্রায় এক ঘণ্টার মতো মাঠে ছিলেন গ্যানাব্রি। পরবর্তীতে অসুস্থতা বোধ করায় তার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করানো হয়, যার ফল এসেছে পজিটিভ। তবে ২৫ বছর বয়সী গ্যানাব্রি বাদে দলটির আর কারও শরীরে করোনার সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা জানানো হয়নি।
আর্সেনালের মূল দলে নিয়মিত সুযোগ না পাওয়ায় ২০১৮ সালের গ্রীষ্মে স্বদেশি ক্লাব বায়ার্নে যোগ দেন গ্যানাব্রি। প্রথম মৌসুমে নজর কাড়ার পর এখন পর্যন্ত পেশাদার ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা তিনি কাটান গতবার। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৬ ম্যাচে ২৩ গোল করেছিলেন তিনি। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন নয়বার। প্রতিযোগিতায় গ্যানাব্রির চেয়ে বেশি গোল ছিল কেবল তার বায়ার্ন সতীর্থ রবার্ত লেভানদোভস্কি (১৫) ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের এরলিং হালান্ডের (১০)।
Comments