ধর্ষণের ঘটনায় ‘সালিশ’ বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

high court
হাইকোর্ট। স্টার ফাইল ফটো

ধর্ষণের ঘটনায় 'সালিশ' বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সালিশ বন্ধের পাশাপাশি গত পাঁচ বছরে ধর্ষণের যতগুলো মামলা বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

আদালতে পূর্বের নির্দেশ অনুযায়ী ধর্ষণ মামলার বিচারের কার্যক্রম ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা প্রতিবেদনে অবশ্যই উল্লেখ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া, ধর্ষণের ঘটনায় 'সালিশ' কেন অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চার সপ্তাহের মধ্যে এর ব্যাখ্যা চেয়ে হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেন।

গত ১৯ অক্টোবর মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর দায়ের করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সব নির্দেশনা ও রুল জারি করেন।

এ সময়, আইনজীবী অনিক আর হক ও ইয়াদিয়া জামান রিট আবেদনকারীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ এমআর চৌধুরী রাষ্ট্রপক্ষের প্রতিনিধিত্ব করেন।

আইনজীবী শাহিনুজ্জামান শাহিন আসক এর পক্ষে এই রিট আবেদন জমা দিয়ে বলেছিলেন, ধর্ষণ একটি অমার্জনীয় ফৌজদারি অপরাধ এবং 'সালিশ' বা আদালতের বাইরে তা নিষ্পত্তি করা যায় না।

আবেদনে তিনি উচ্চ আদালতের পূর্বের নির্দেশাবলী এবং মহিলা ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর প্রাসঙ্গিক ধারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ধর্ষণ মামলার বিচার কার্যক্রম ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির জন্য হাইকোর্টকে অনুরোধ জানান।

আবেদনে সংগঠনটি গত দশ বছরে দেশজুড়ে থানায় যে সব ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে এবং বিচারের জন্য তার কতগুলো আদালতে পাঠানো হয়েছিল, আদালতকে তার অনুসন্ধানের আহ্বান জানায়।

এ ছাড়া, ধর্ষণ মামলার ক্লোজ ডোর বিচারের বিধান বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ জারি করার জন্যও আবেদনে জানানো হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Trump won't say if US will strike Iran, but says it's 'late to be talking'

Israel army says struck Iran centrifuge production, weapons manufacturing sites

1d ago