আত্মঘাতী গোলে জয় পেল লিভারপুল

আয়াক্স আমস্টারডামের মাঠে বেশ শক্ত পরীক্ষার মুখোমুখি হলো লিভারপুল। তবে লিড ধরে রেখে পূর্ণ তিন পয়েন্ট আদায় করে নিয়েই মাঠ ছাড়ল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাধারীরা। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দুই সাবেক চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ে ব্যবধান গড়ে দিলো আত্মঘাতী গোল।
বুধবার রাতে ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে আয়াক্সের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। প্রথমার্ধের ৩৫তম মিনিটে সাদিও মানের শট স্বাগতিক ডিফেন্ডার নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর পায়ে লেগে জালে জড়ায়।
নেদারল্যান্ডসের ক্লাবটির সঙ্গে লিভারপুলের লড়াই হয়েছে প্রায় সমানে সমান। বল দখলে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পাশাপাশি সুযোগ তৈরিতেও কিছুটা আধিক্য দেখায় অলরেডসরা। তাদের ১৬টি শটের ছয়টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে আয়াক্সের ১২টি শটের পাঁচটি ছিল গোলপোস্টের সীমানার ভেতরে।
ষোড়শ মিনিটে ম্যাচের প্রথম সুযোগটি পায় স্বাগতিকরা। দুসান তাদিচের ক্রসে লিসান্দ্রো মার্তিনেজের হেড সহজেই লুফে নেন সফরকারী গোলরক্ষক আদ্রিয়ান। ২১তম মিনিটে বদলি ফরোয়ার্ড কুইন্সি প্রোমেসের ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৩৩তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন ডাচ ফরোয়ার্ড প্রোমেস। দাভিদ নেরেসের ক্রসে গোলরক্ষককে ফাঁকায় পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার শট পা দিয়ে ফিরিয়ে দেন আদ্রিয়ান।
ফলে শুরুতে দাপট দেখিয়েও গোল আদায় করা হয়নি আয়াক্সের। উল্টো দুই মিনিট পর পিছিয়ে পড়ে তারা। সেনেগালের ফরোয়ার্ড মানের নির্বিষ শটে পা ছুঁইয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে আনেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার তাগলিয়াফিকো।
৪৪তম মিনিটে সমতায় ফেরার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল আয়াক্স। ডেলি ব্লিন্ডের থ্রু বলে আদ্রিয়ানকে একা পেয়ে তার মাথার উপর দিয়ে চিপ করেছিলেন তাদিচ। বল যাচ্ছিল জালের দিকে। দারুণভাবে গোললাইন থেকে বল ফিরিয়ে লিভারপুলকে গোল হজম থেকে বাঁচান ফাবিনহো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফের রক্ষা পায় অতিথিরা। ডেভি ক্লাসেনের ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট বাধা পায় পোস্টে। ৫৭তম মিনিটে অ্যান্ড্রু রবার্টসনের কর্নারে ফাবিনহোর হেড আয়াক্স গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানার হাত ছুঁয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে প্রোমেসের শট ঝাঁপিয়ে ফেরান আদ্রিয়ান।
ম্যাচে নিষ্প্রভ ছিলেন লিভারপুলের আক্রমণভাগের তিন তারকা। তাই ৬০তম মিনিটে মানে, মোহামেদ সালাহ ও রবার্তো ফিরমিনোকে একসঙ্গে উঠিয়ে নেন ক্লপ। পরিবর্তে নামানো হয় তাকুমি মিনামিনো, জেরদান শাকিরি ও দিয়োগো জোতাকে।
৭০তম মিনিটে জাপানিজ ফরোয়ার্ড মিনামিনোর শট পরাস্ত করতে পারেনি ওনানাকে। তিন মিনিট পর ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের ক্রসে জর্জিনিও ভাইনালডামের হেডও লক্ষ্যে থাকেনি বলে ব্যবধান বাড়ানো হয়নি লিভারপুলের।
যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করে আয়াক্স। তাগলিয়াফিকোর ক্রস আদ্রিয়ান ঠিকমতো লুফে নিতে না পারলে বল পেয়ে যান ইয়ুর্গেন একেলেনকাম্প। কিন্তু বারের অনেক উপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি।
গ্রুপের আরেক ম্যাচে ডেনমার্কের মিতউইলানের মাঠে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছে ইতালিয়ান ক্লাব আতালান্তা।
Comments